স্টাফ রিপোর্টার: নেতা-মন্ত্রীদের পুজোয় চলে যাচ্ছে সব বিজ্ঞাপন। কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kartik Banerjee) সংগঠন ‘বিবেক’-এর পুজোসংখ্যার এক নিবন্ধে উঠে এল এই বিষয়। যা নিয়ে জোর চর্চা সব মহলে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাই কার্তিক। তাঁর অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বিবেক’, তার পুজোসংখ্যায় বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত যে নিবন্ধটি ছাপা হয়েছে তার লেখকের নাম বিবেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, লেখাটি কার্তিকই ছদ্মনামে লিখেছেন। তাতে যা লেখা হয়েছে, তার মূল বক্তব্য, নেতা-মন্ত্রীদের পুজোতেই কর্পোরেট সংস্থাগুলো বিজ্ঞাপন নিয়ে হাজির হচ্ছে তাঁদের তোয়াজ করার উদ্দেশ্যে। পুঁজির একটা বড় অংশ কুক্ষিগত হয়ে থাকছে। তাতে সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সর্বজনীন বাকি বারোয়ারি পুজোগুলি। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েই লেখা, ‘দুর্গাপুজো সর্বজনীন আছে কি না আমার মাঝেমধ্যে সন্দেহ হয়…। আগে দেখা যেত যে, একটা পাড়ার পুজো মানে সেই এলাকার লোকজন একত্রিত হয়েছে। সবাই মিলে চাঁদা দিয়ে পুজোটা পাড়ার লোকরাই করত। সকলের উপস্থিতিতে পুজো প্রাঙ্গণ একটা উৎসবের চেহারা নিত। কিন্তু এখন কর্পোরেট জমানায় পাড়ার লোকেরা থাকুক না থাকুক, পাওয়ারফুল থাকলেই যার ক্ষমতা আছে কর্পোরেটকে কবচ পরিয়ে দেওয়ার, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার তাদের পুজোই অগ্রাধিকার পাবে।’ আরও লেখা, ‘যে কর্পোরেট সংস্থাগুলি টাকা দেয়, তারা ওই পনেরো-কুড়িটা পুজো বা কোনও মন্ত্রী, নেতা বা শক্তিশালী লোকজনদের বারবার দিচ্ছে। সব টাকাটাই সাইফন করে তুলে নিচ্ছে।’
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, নিবন্ধটি কি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছদ্মনামে লেখা? তাঁর কথায়, ‘‘এটা আমার ভাবনা। সেটাই লেখা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ঠিকই তো লেখা। মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন চেহারা দেওয়ার জন্য কিছু কিছু সাহায্য করছেন। কিন্তু মূল পুজোটা ২০-২১টা কমিটির মধ্যে কুক্ষিগত হয়ে থেকে যাচ্ছে। ফলে ছোট বারোয়ারি পুজোগুলোর মধ্যে হতাশা আসছে।’’
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘এর সঙ্গে দল বা সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। বাম জমানায় সুভাষ চক্রবর্তী বা রবীন দেবরা যে সমস্ত পুজোকে নিয়ন্ত্রণ করতেন সেখানে বিজ্ঞাপন বেশি আসত। কর্পোরেট কর্তারা তাদের খুশি করত। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও এখন এটা হয়।’’ সামগ্রিকভাবে ছোট পুজোর পক্ষে কুণাল বলেন, ‘‘এটা ঠিক, ছোট পুজোগুলোরও বিজ্ঞাপন দরকার।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.