দীপঙ্কর মণ্ডল: নার্সারির শিশুদের আঁকা পরীক্ষায় বিজেপির প্রতীকে রং করতে দিয়ে বিতর্কের মুখে বেসরকারি স্কুল। স্কুলের এই ধরণের আচরণ তাদের অভিভাবকদের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।ঘটনাটি খাস কলকাতার বড়বাজার এলাকার।
খাস কলকাতার বড়বাজারে অবস্থিত রাজস্থান বিদ্যামন্দির স্কুল। আজ স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পড়ুয়াদের বার্ষিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়। তাই অভিভাবকদের নির্দেশ দেওয়া হয় পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে স্কুলে আসতে। তবে স্কুলে গিয়ে নার্সারির শিশুদের আঁকার খাতা দেখেই অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ে। কারণ, নার্সারির শিশুদের খাতায় বিজেপির প্রতীকের পদ্মফুল এঁকে তাতে তাদের রং করতে বলা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিশু মনের পরোক্ষ প্রভাব ফেলার ও অভিভাবকদের পরোক্ষে বিজেপি অনুরাগী করার চেষ্টা অভিযোগ জানায়। অভিভাবকদের কথায়,”বাচ্চাদের আঁকা শেখানোর প্রয়োজন হলে তাদের যেকোনও রকমভাবেই পদ্মফুল আঁকানো যেতে পারত। কিন্তু বিজেপির প্রতীকের আকারে এই পদ্মফুল এঁকে তাদের রং করতে বলায় শিশুমনের ওপর চাপ পড়তে পারে। এতে আমাদের মনে হচ্ছে তারা এখন থেকেই জোর করে শিশুদের বিজেপির প্রতীকের সঙ্গে পরিচিত করাতে চাইছেন।” অভিভাবকদের একটি অংশ বলেন,”এইভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ওপর পরোক্ষে একটি রাজনৈতিক মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন । এছাড়া একটি চার বছরের শিশুকে জাতীয় ফুলের সঙ্গে পরিচিত করার জন্য বিজেপির প্রতীকের সঙ্গে পরিচিত করার দরকার নেই। শিশুদের শেখানোর প্রয়োজন হলে তাদের সহজ করে পদ্মফুল আঁকানো যেতেই পারত।” আইসিএসই বোর্ডের এই স্কুল কর্তৃপক্ষ অবাঙালি। এলাকায় বিজেপির প্রভাব আছে। স্থানীয়একটি অংশের অনুমান,স্কুলটিকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষ বিজেপিকে সমর্থন করে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিশুদের ছবি আঁকার বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
[আরও পড়ুন:করোনা এড়াতে চাহিদা তুঙ্গে, সস্তায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির পথে এবার কলকাতা পুলিশও]
এখানেই শেষ নয়, অভিভাবকদের অভিযোগ বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির আকার ধারণ করায় যেখানে সরকার প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ছুটি রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। সেখান এই স্কুল কীকরে শিশুদের ফলপ্রকাশের জন্য তাদের স্কুলে আসতে নির্দেশ দেয়? ফলপ্রকাশ করতে হলে তারা তা অনলাইনের সাহায্যে বা অন্য উপায়েও করতে পারত। তাতে এমন অবস্থায় শিশুদের বাড়ি থেকে স্কুলে আসার নির্দেশের প্রয়োজন ছিল না।