Advertisement
Advertisement

Breaking News

রেললাইনে রেলকর্মীর মৃত্যু

কাজের মারাত্মক চাপেই আত্মঘাতী? রেললাইনে রেলকর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চরমে রহস্য

মৃ্ত্যু হয়েছে শিয়ালদহের অপারেশন বিভাগের চিফ কন্ট্রোলারের।

Railways chief controller of Sealdah commits suicide, probe launched
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 9, 2020 6:09 pm
  • Updated:July 9, 2020 6:12 pm

সুব্রত বিশ্বাস: ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয় যাঁর নির্দেশে, তিনিই কি না ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বেলঘরিয়া ও দমদমের মাঝে রহস্যজনকভাবে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারালেন শিয়ালদহ অপারেশন বিভাগের চিফ কন্ট্রোলার। মৃতের অবস্থান দেখে রেল পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, আত্মহত্যার করেছেন তিনি। রেল পুলিশের কথায়, ধড় থেকে মাথা এমন ভাবে আলাদা হয়েছে, যে লাইনে মাথা না রাখলে এমনটি হতে পারে না। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রেল। শিয়ালদহগামী ডাউন কৃষ্ণনগর লোকালের গার্ডের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৮টা ১০ মিনিট নাগাদ বেলঘরিয়া-দমদমের মাঝে এক ব্যক্তি ট্রেনের চাকায় কাটা পড়েন। মৃতের পকেটে আই কার্ড দেখে পুলিশ জানতে পারে তাঁর নাম সঞ্জয় তরফদার, বয়স ৫৫ বছর। তিনি শিয়ালদহ অপারেশন বিভাগের চিফ কন্ট্রোলার। বেলঘরিয়ার নয়া পল্লির বাসিন্দা। মিশুকে প্রকৃতির এই রেলকর্মী সকলের প্রিয় ছিলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৮ দিনেই করোনা জয়, সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেন নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্ত]

তাঁর এই রহস্যজনক মৃত্যুর পিছনে অমানুষিক কাজের চাপকে দায়ী করেছে পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়ন। সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, কন্ট্রোল অফিসে জুলাই মাসে ন’জন করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হন। এমনকী শিয়ালদহের সিনিয়ার ডিভিশনাল অপারেশন ম্যানেজার করোনা আক্রান্তে শিকার। এই আধিকারিকের সংস্পর্শে আসায় শিয়ালদের, ডিআরএম, এডিআরএম, সিনিয়র ডিইই, সিনিয়র ডিএমই, সিনিয়র ডিএসও, এওএম, এএমই হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার থেকে ডিআরএম বিল্ডিংয়ের একাধিক দপ্তর সিল করে দেওয়া হয়।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে সঞ্জয়বাবুকে দিয়ে টানা কাজ করানো হচ্ছিল। ছুটি চেয়েও পাননি তিনি। এদিন তিনি অফিসে যাচ্ছিলেন। বেলঘরিয়া থেকে ট্রেনে চড়ার কথা ছিল। বেলঘরিয়া ও দমদমের মাঝে চক্ররেলের কানেক্টিং চত্বরে কেন এসেছিলেন? তবে কি আত্মহত্যার জন্যই এতটা দূরে এসে নির্জন জায়গা খুঁজে নিয়েছিলেন তিনি? এই প্রশ্ন এখন সহকর্মীদের মনে উঠে আসছে। অফিসে একের পর এক মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের পরিবারের সবাই সংক্রমিত হতে দেখছেন। এই প্রেক্ষিতে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন সঞ্জয়, এমনই অভিযোগ করেন অমিতবাবু। মানসিক চাপ নিতে পারছিলেন না। এই জন্য তিনি আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেন বলে ইউনিয়নের অভিযোগ।

[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই লকডাউন মানেন না’, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের]

সঞ্জয়বাবুর মৃত্যুর খবর ডিআরএম বিল্ডিংয়ে আসতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কর্মীরা প্রকৃত তদন্তের দাবি তুলেছে। সহ কর্মীদের উদ্দেশ্যে শিয়ালদের সিনিয়র ডিওএম জানিয়েছেন, ”সঞ্জয়ের আত্মহত্যায় মর্মাহত। কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা চলেছি। মানসিক চাপ তৈরি হলে আমাদের জানিয়ে বিশ্রাম নিন। সবাই ভাল থাকুনস, সুস্থ থাকুন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ