সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে ওঠা শহর কলকাতা পরিচিত হয়েছিল ‘রাতদখল’ আন্দোলনের সঙ্গে। প্রতিবাদকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে ‘দখল’ করে নিয়েছিলেন রাতের পর রাত। যার সূচনা হয়েছিল ১৪ আগস্ট, মধ্যরাতে, প্রতিবাদী রিমঝিম সিংহর আহ্বানের ভিত্তিতে। এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই জনৈক রিমঝিম ‘সাধারণ’ মেয়ের খোলস ছেড়ে হয়ে উঠেছিলেন অনন্য সাহসী। সবাই একডাকে চিনেছিল তাঁকে। কিন্তু মাস তিন যেতে না যেতেই এই ‘রাতদখল’ আন্দোলনের হাত ধরে রিমঝিম হয়ে ওঠেন সমালোচনার পাত্রী। চাকরি খোঁজার জন্য অনলাইন পোর্টাল LinkedIn নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে প্রথমেই লিখলেন – তিনি রাতদখলের মূল আন্দোলনকারী! আর তাঁর এই প্রোফাইল ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকেরই প্রশ্ন, রাতদখলের আন্দোলন কি চাকরি পাওয়ার মাপকাঠি হতে পারে? তিনি কি আন্দোলনকে ভাঙিয়ে চাকরি খোঁজার চেষ্টা করছেন? এমন উদ্দেশ্য থাকলে তা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়।
LinkedIn প্রোফাইলে রিমঝিম শুরুতেই নিজের পরিচয় হিসেবে লিখেছেন রাতদখল আন্দোলনের কথা। তার পর ফ্রিলান্স জাতীয় কাজের খোঁজে লিখেছেন, তিনি অনুবাদক। সেই প্রোফাইল ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, আন্দোলনকে তিনি বিজ্ঞাপনের মতো ব্যবহার করছেন। কারও আবার মত, এই সুযোগে নিজের যোগ্যতা বাড়াতে চাইছেন রিমঝিম। আবার কারও সতর্ক সুর, আন্দোলনকারী বলে নিজেকে পরিচয় দেওয়াটা আসলে ‘বোকামো’। কোনও সংস্থা চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘আন্দোলনকারী’কে প্রাধান্য দেয় না।
তবে LinkedIn প্রোফাইলে নিজের এহেন পরিচয় নিয়ে সমালোচনা শুরু হতেই অবশ্য রিমঝিমও জবাব দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ”এখন এই প্ল্যাটফর্ম আর শুধুমাত্র চাকরি খোঁজার জায়গা নয়। তা সমাজমাধ্যম হয়ে উঠেছে। LinkedIn-এ অনেক আবেদনকারীই নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয়, নিজেদের কর্মকাণ্ড লিখে রেখেছেন। আমিও তাই লিখেছি। কোনও বিপণন বা বাড়তি সুবিধা পাওয়ার জন্য নয়।” যদিও এসব যুক্তিতে সমালোচনা থামছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.