শুভঙ্কর বসু: লকডাউন শিথিল হলেও কলকাতা হাই কোর্টের কাজকর্ম পুরোপুরি স্বাভাবিক হচ্ছে না। হাই কোর্ট সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। লকডাউনের পরবর্তী পর্যায়ে পরিবহণ ও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ পর নিয়ন্ত্রিত আকারে হাই কোর্টের কাজকর্ম শুরু হবে বলে খবর। তবে সেক্ষেত্রেও বজায় থাকবে কঠোর সামাজিক দূরত্ব বিধি।কলকাতা হাই কোর্টের অন্দরে প্রয়োজন ছাড়া সাধারণের প্রবেশ থাকবে পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এমনকী, মামলাকারীরাও ইচ্ছে হলেই শুনানিতে উপস্থিত করতে পারবেন না। শুধুমাত্র আদালতে হাজিরা দেওয়ার থাকলে তবেই হাইকোর্টের অন্দরে প্রবেশের ছাড়পত্র মিলবে। এবং কাজ মিটলেই তৎক্ষণাৎ হাইকোর্ট চত্বর ছাড়তে হবে।
এছাড়াও করোনা ভীতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মামলাকারী ও আইনজীবীদের প্রবেশের জন্য হাইকোর্টের মাত্র দুটি গেট (গেট-ই ও বি) খোলা থাকবে। পাশাপাশি লকডাউনের পরবর্তী পর্যায়ে স্বাভাবিক সময়ের মত হাই কোর্টের সব কটি বেঞ্চ একসঙ্গে কাজ করবে না। প্রতি সপ্তাহে ভাগে ভাগে বেঞ্চগুলি কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে। আদালত কক্ষে বিচারপতিরা ছাড়া উপস্থিত থাকতে পারবেন মাত্র তিনজন আদালত কর্মী। এছাড়াও ছ’জনের বেশি আইনজীবী আদালত কক্ষে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে সূত্রের খবর। কোনও মামলায় যদি ছয় জনের বেশি আইনজীবীর উপস্থিতি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মামলাটি স্থগিত রাখা হবে।
[আরও পড়ুন : ৩১ জুলাই খুলছে রাজ্যের স্কুলগুলি! ভুয়ো পোস্ট নিয়ে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ]
কলকাতা হাই কোর্টে একাধিক বড় আদালত কক্ষ রয়েছে সেই কক্ষগুলিতে বিচারপতিরা এবং আদালত কর্মী ছাড়া সর্বোচ্চ ৮ জন প্রবেশ ধার্য করা হবে। এছাড়াও আদালত করিডোরে জমায়েত পুরোপুরি নিষিদ্ধ। করিডোরগুলিতে রাজ্য পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা নির্দিষ্ট করে জায়গা চিহ্নিত করবেন। ওই চিহ্নিত করা স্থানেই দাঁড়ানো যাবে। হাই কোর্টের লাইব্রেরী রুম গুলিতেও বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। এছাড়াও পাঁচ জনের বেশি হাইকোর্টের লিফটে ওঠা যাবে না। লকডাউন উঠলেও হাইকোর্টের ক্যান্টিনগুলি থাকবে বন্ধ। লকডাউন ওঠার পর অন্তত এক সপ্তাহ ধরে গোটা হাই কোর্ট স্যানিটাইজ করার কাজ চলবে বলেও জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন : ‘তেলিনিপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করুন’, জেলাশাসককে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
এদিকে করোনা পরিস্থিতির জেরে পোশাককে বদল আনতে নির্দেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। করোনার জেরে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি চলাকালীন আইনজীবীদের কালো জোব্বা ও গাউন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবর্তে পুরুষ আইনজীবীদের জন্য ধার্য করা হয়েছে সাদা শার্ট ও প্যান্ট। এবং মহিলা আইনজীবীরা পড়বেন সাদা সালোয়ার কামিজ বা সাদা শাড়ি।