Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mukul Roy join TMC

মুকুলের প্রত্যাবর্তন হলে তৃণমূলে ফিরতে পারেন সব্যসাচী-রাজীবও! তুঙ্গে জল্পনা

দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই নেতার সঙ্গে কথা বলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।

Sabyasachi Dutta and Rajib Banerjee may also join TMC after Mukul Roy
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 11, 2021 1:30 pm
  • Updated:June 11, 2021 3:33 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একজন মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ঘনিষ্ঠ অনুগামী। অপরজন, ইদানিং মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। কথা হচ্ছে বিধাননগর পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা বিধাননগর কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপি শিবিরের আশঙ্কা, মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরলে এঁরা দু’জনও তাঁর পিছু নিতে পারেন।

সম্প্রতি এই দুই নেতাকেই প্রকাশ্যে দলীয় নীতির সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে। সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta) প্রকাশ্যেই বিধানসভা ভোটে দলের নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, মমতার বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর মতো মুখ বিজেপি-র ছিল না। হিন্দিভাষী নেতাদের দিয়ে বাংলা দখল সম্ভব নয়। আবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) ফেসবুক পোস্টে প্রকাশ্যেই সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। দলের নীতির সমালোচনা করে বলেছেন, বারবার রাষ্ট্রপতি শাসন বা ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে মানুষ ভালভাবে নেবে না। নিজেদের বক্তব্যের জন্য এই দুই নেতার সঙ্গে কথা বলেছে দল। এখনও সরকারিভাবে শো-কজ করা না হলেও, তাঁদের কাছে এই ধরনের বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়েছেন বিজেপির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ ডা. সুভাষ সরকার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আজই তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ মুকুল, শুভ্রাংশুর? বিকেলের বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে]

আসলে গেরুয়া শিবিরের একাংশের আশঙ্কা, মুকুল (Mukul Roy) তৃণমূলে ফিরলে অনেকেই তাঁর পিছু নেবেন। সেই তালিকায় প্রথম নাম হতে পারে সব্যসাচী এবং রাজীবের। কারণ, সব্যসাচী দত্ত শুরু থেকেই মুকুলকে ‘দাদা’ হিসেবে দেখেন। তাঁকে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়ার কারিগরও মুকুল রায়ই। তৃণমূলে থাকাকালীনও সব্যসাচী নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন মুকুলের সঙ্গে। এমনকী, বিধাননগরে তাঁর বাড়িতে লুচি-আলুর দম পর্বও বেশ আলোড়ন ফেলেছিল রাজ্য রাজনীতিতে। অন্যদিকে, ভোটের পর থেকেই কার্যত বেপাত্তা রাজীব। দলের কোনও মিটিং-মিছিলে দেখা যায় না। দিলীপ ঘোষেরাই নাকি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। যদিও সুভাষ সরকারের দাবি, তিনি সব্যসাচী এবং রাজীব দু’জনের সঙ্গেই কথা বলেছেন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ