সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাধা হল না করোনা (Coronavirus) আবহ। কলকাতা হাই কোর্টের সবুজ সংকেতে, নির্দিষ্ট নিয়মবিধি মেনে সল্টলেকের অন্যতম বিখ্যাত মৈত্রী সংঘের গণেশ পুজোর উদ্বোধন হয়ে গেল। এই পুজোর মূল পৃষ্ঠপোষক সল্টলেকের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। এদিন পুজোর উদ্বোধন করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। যদিও করোনা কালে অনেক ছোট করে পুজো হচ্ছে। BFCF ব্লকে আড়ম্বরহীন পুজোয় শামিল হয়েছেন নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ। সকলের মুখে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে সিদ্ধিবিনায়কের আরাধনা।
এবার সপ্তম বছরে পড়ল সল্টলেক মৈত্রী সংঘের গণেশ পুজো। প্রতি বছরের ধুমধামের পরিচিত দৃশ্য এবছর উধাও। ছোট করে হলেও রীতি মেনেই আজ পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের হাত ধরে। উপস্থিত ছিলেন মৈত্রী সংঘের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta) এবং তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রানী দত্ত-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: ফেসবুকে আলাপ, মন্দিরে বিয়ে, নতুন বরকে নিয়ে প্রথম স্বামীর বাড়িতেই সংসার কলকাতার বধূর]
চলতি বছর করোনা আবহে সল্টলেকে মৈত্রী সংঘের গণেশ পুজো ঘিরে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। প্রথমে বিধাননগর পুলিশের তরফে অনুমতি মেলেনি। পুজোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হন কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার মৈত্রী সংঘের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত জানিয়েছিলেন,”পুজো নিয়ে আদালত সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। আমরা আদালতের কপি হাতে পাওয়ার পর বিদ্যুৎ দপ্তরের কোটেশন, বিধাননগরে পুরনিগম ও দমকল বিভাগের পারমিশন লেটার এবং তার সঙ্গে আদালতের রায়ের কপি বিধাননগর উত্তর থানায় জমা দিতে গিয়েছিলাম। তারা সেটি জমা নেয়নি। তারপর বিধাননগর কমিশনারেটে ইমেল করে সেটি পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেটির হার্ড কপিও জমা করা হয়েছে। তবে এদিন রাত পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি।” মৈত্রী সংঘের উদ্যোক্তাদের বক্তব্য ছিল, পুজো নিয়ে টালবাহানা অনভিপ্রেত।
[আরও পড়ুন: ‘রবিঠাকুর নিয়ে লড়াই নয়’, বিশ্বভারতী কাণ্ডে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বার্তা সৌমিত্রর]
তবে শেষমেশ হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে গণেশ পুজোর অনুমতি পায় সল্টলেক মৈত্রী সংঘ। ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত এখানে পুজো চলবে। সেই সংক্রান্ত অনুমোদন দিয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।
দেখুন ভিডিও: