Advertisement
Advertisement
শতাব্দী রায়

সারদা কাণ্ডে জেরা করতে শতাব্দীকে তলব, ইডি’র দপ্তরে হাজিরা সাংসদের

টাকা ফেরতের আইনি পদ্ধতি নিয়ে গোয়েন্দাদের সঙ্গে আলোচনা শতাব্দীর।

Saradha scam: ED grills Tollywood actress Satabdi Roy
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 8, 2019 5:12 pm
  • Updated:August 8, 2019 6:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৮ আগস্ট এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের (ইডি) দপ্তরে হাজিরা দিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। বুধবারই তাঁর যোগাযোগ করার কথা ছিল। কিন্তু দলীয় কাজের দৌলতে দিল্লিতে থাকার কারণে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। টাকা ফেরত দেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করে গত মাসেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে চিঠি দিয়েছিলেন বীরভূমের সাংসদ। এবার সেই বিষয়ে চূড়ান্ত কথা বলতে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটে নাগাদ সল্টলেকে ইডির দপ্তরে পৌঁছন শতাব্দী রায়।

[আরও পড়ুন: কৌশিককে সরিয়ে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের নয়া চেয়ারপার্সন গৌতম ঘোষ]

জুলাইয়ের ৩০ তারিখেই শতাব্দী জানিয়েছিলেন, আগামী ৭ আগস্ট সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ায় পরই তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন।  এবং সেই সঙ্গে ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কথামতো করলেনও তাই। পূর্ব সমনের জের ধরেই টাকা ফেরতের আইনি পদ্ধতি নিয়ে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে এদিন শতাব্দী পৌঁছন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। সূত্রের খবর, সুদীপ্ত সেনের কীভাবে তাঁর যোগাযোগ গড়ে ওঠে, সেই সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সারদা কাণ্ডে টাকা লেনদেনের সূত্র ধরে এর আগেই ইডি এবং সিবিআই বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ, অভিনেত্রী শতাব্দী রায়কে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। গত ১২ জুলাই তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও এড়িয়ে যান তিনি। এর আগেও একাধিকবার ইডির নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও গরহাজির ছিলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়। তবে এবার দলে নিজের অবস্থানকে আরও স্বচ্ছ করে তুলতেই শতাব্দীর এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

[আরও পড়ুন: আসছে ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর সিক্যুয়েল, এবার রহস্য আরও ঘনীভূত]

উল্লেখ্য, সারদার অধীনে একটি সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন। সূত্রের খবর, সেই সময় থেকেই সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে শতাব্দীর আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল কি না, সেই সম্পর্কিত জিজ্ঞাসাবাদও তাঁকে করা হয়। সারদা গোষ্ঠী থেকে শতাব্দী প্রায় ২৯ লাখ টাকা পেয়েছিলেন। ইডি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে, সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী ওই টাকা তিনি সুদীপ্ত সেনের সংস্থার কাছ থেকে পেয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ইডির তদন্তে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গেও সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক লেনদেনের খবর মিলেছিল। পরে মিঠুন সেই ফেরত দিয়ে দেন। এবার শতাব্দীও সেই পথেই হাঁটলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement