BREAKING NEWS

২৬ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  শনিবার ১০ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

নোবেল জিতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published by: Bishakha Pal |    Posted: October 16, 2019 8:52 am|    Updated: October 16, 2019 8:52 am

Shame! Nobel prize winner Abhijit Banerjee trolled brutally

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। নামটা এখন এতটাই চেনা যেন পাশের বাড়ির ছেলে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। সাফল্যও তো কম নয়। অমর্ত্য সেনের পর তৃতীয় বিশ্বের দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে রিসার্চ করে নোবেলজয়ী বাঙালি। কিন্তু অভিজিৎবাবুর বাঙালিয়ানাই যেন তাঁর নাম কলুষিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটলে অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে। কেউ কলকাতার জয়জয়কার করছেন। তো কেউ বাঙালিয়ানার। বিশেষজ্ঞের মতে, অভিজিৎবাবুর কাজটাই এতে ছোট হয়ে যাচ্ছে। এতে আসলে প্রাদেশিকতার ছাপ প্রকাশ পাচ্ছে।

[ আরও পড়ুন: কার্নিভালে ডেকে অপমান করা হয়েছে, ক্ষোভ উগরে দিলেন ব্যথিত রাজ্যপাল ]

আগে বলা হত, যা আজ ভাবে বাংলা, কাল সেটাই ভাবেন দেশের মানুষ। অর্থনীতিতে অভিজিৎবাবুর নোবেল জয়ের পর সেই বিতর্কটাই নতুন করে দানা বেঁধেছে। এতদিনে দেশের ন’টা নোবেলের মধ্যে ছ’টাই কলকাতার কবজায়। তাই অনেকেই বলছেন, দেশের মধ্যে এই বঙ্গপ্রদেশের ‘দম’ সবচেয়ে বেশি। মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় নোবেলের খবর শুনে টুইটারে লেখেন, “অভিজিতের মতো আমিও সাউথ পয়েন্টের ছাত্র। ভারতীয় এবং ‘কলকাতান’ বলে আজ গর্ব হচ্ছে।” বিজেপি নেতা তথাগতবাবুর মুখে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুনাম শুনে রে রে করে ওঠে নেটিজেনরা। তাদের কথায়, “আজ যে অভিজিৎবাবুর সুনাম করছেন, সেই অভিজিৎই কিন্তু কংগ্রেসের ‘ন্যায়’-এর সূত্রধার।” তার পর হাসির ফোয়ারা ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এদিন টুইটারে অনেকে আবার বাঙালিদের ডিএনএ নিয়েও লেখালিখি করেছেন। প্রশ্ন ওঠে, কী খেলে এত বুদ্ধির অধিকারী হওয়া যায়? কারণ, নোবেল ছাড়াও বাঙালিদের কৃতিত্বের ঝুলিতে অনেক রসদ। অনেকে অভিজিৎবাবুর ভারতীয়ত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের কথায়, এতদিন দেশের বাইরে ছিলেন কেন! পড়াশোনার পর দেশে ফিরে এসে কাজ করে দেখাতে পারতেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর টুইটেও ‘জয় বাংলা’ লেখা থাকায় সেখানেও প্রশ্ন তুলেছেন বহু মানুষ। নেটিজেনদের প্রশ্ন, বাঙালির আগে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয়। তিনি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও ছিলেন। সেটাও তো দেখতে হবে। অনেকে আবার টুইটারে লিখেছেন, নাগরিকপঞ্জি হলে বাঙালিদের দেশ থেকে তাড়ানো যাবে না। কারণ, সর্বত্রই ওঁরা দেশের ধ্বজাধারী।

[ আরও পড়ুন: ‘শেয়াল পণ্ডিতের’ নোবেল জয়, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ছোটবেলার বন্ধুরা ]

অনেকে লিখেছেন, একদিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হলেন। অন্যদিকে, অভিজিৎ বিনায়কের নোবেল। সেই জয়ের আনন্দেই বাঙালি সত্তাটাই যেন উপরে থাকছে ভারতীয়ত্বের থেকে।

অনেকে আবার সস্ত্রীক নোবেল জয়কেও কটাক্ষ করেছেন। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে অভিজিৎবাবুর স্ত্রী ফ্রান্সের এস্থার ডুফলোকে ‘ক্রেডিট’ দিতে নারাজ। তবে সংবাদমাধ্যম ডুফলোর পাশে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকেই শেয়ার করেছেন এস্থার ডুফলোর কঠোর পরিশ্রমের গল্প।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে