প্রতীকী ছবি।
গোবিন্দ রায়: স্কুটির ডিকি খুলেই চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের। কুরিয়ারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছিল গাঁজা (Drugs) ও নেশার ট্যাবলেট! সেই সূত্র ধরেই তদন্তে নেমে বড়সড় আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রের পর্দা ফাঁস করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (STF)। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের নাম শেখ ইমরান ওরফে মুন্না ও মহম্মদ স্করিজ আহমেদ। এদের দু’জনকে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের NDPS আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ডার্ক-নেট ওয়েব প্ল্যাটফর্মে আমেরিকার (USA) ক্যালিফোর্নিয়ায় মাদকের অর্ডার দেওয়া হত। তারপর সেগুলো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কলকাতায় পাচার হত। শনিবার একইভাবে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাচার করা হচ্ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার গাঁজা ও নেশার ট্যাবলেট যা ইয়াবা (Yaba) ট্যাবলেট নামে পরিচিত। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে সন্ধে নাগাদ স্ট্যান্ড রোড সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালান এসটিএফের সদস্যরা। একটি স্কুটিতে মাদক নিয়ে দু’জন যাচ্ছিল। তাদের আটক করে তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় ১ কেজি ৮৪৩ গ্রাম গাঁজা ও ২৪১ গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেট।
শনিবার তাদের আদালতে পেশ করলে মামলার শুনানিতে ধৃতদের জামিনের তীব্র বিরোধিতা জানান মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি দীপঙ্কর কুণ্ডু ও সঞ্জয় সিং। তাঁদের দাবি, “এর পিছনে একটা বিরাট আন্তর্জাতিক মাদক পাচারচক্র (International drug smuggling) কাজ করছে। গোয়েন্দার চোখে ধুলো দিয়ে পাচারের পদ্ধতি বদলে অভিনব উপায় বদলাচ্ছে পাচারকারীরা। এই ঘটনায় আরও তিনজনের হদিশ পেয়েছে গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে দু’জন আমেরিকার বাসিন্দা।”
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়েন্দাদের কাছে বেশ কয়েকদিন ধরেই খবর আসছিল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাচার করা হচ্ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দামী ও শক্তিশালী সবুজ গাঁজা (মারিজুয়ানা)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে বিপুল পরিমাণে এই মাদক চোরাচালান করা হচ্ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.