ছবি: প্রতীকী
অভিরূপ দাস: পড়তে হবে না। টাকা দিলেই এমবিবিএস পরীক্ষায় পাশ! একাধিক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে এভাবে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ডা. মনবুর আলির বিরুদ্ধে।
সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের তরফ থেকে সোমবার ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ডা. সৌমিত্র মৃধা, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. সৌম্যদীপ মণ্ডল, হাউসস্টাফ ডা. শৌভিক ঘোষ অভিযোগ করেছেন, যে সমস্ত পড়ুয়ারা টাকা দিয়েছিলেন তাঁরাই এবার লিখিতভাবে জানিয়েছেন সবটা। প্রত্যেকেই মেধাবী। এক-দুজন হয়তো কোনও কারণে অকৃতকার্য হয়েছে। অভিযোগ, এদেরকে পাশ করিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে মোটা টাকা নিত একটা চক্র। যার মাথা মনবুর আলি।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে চিকিৎসক মনবুর আলির সঙ্গে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের কোনও যোগাযোগ নেই। সূত্রের খবর, আপাতত ওই চিকিৎসক কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যুক্ত। হাউসস্টাফ ডা. শৌভিক ঘোষ বলেন, “এক বছর আগেও এই কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মনবুর। এখন তাঁর সঙ্গে কলেজের কোনও সম্পর্ক নেই।” অন্যদিকে, অভিযোগকারী পড়ুয়াদের দাবি, একটা পেপারে পাশ করার জন্য দিতে হবে ৪০ হাজার। আর ৪ লক্ষ টাকা দিলেই সমস্ত বিষয়ে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। এমনই ফাঁদ পেতেছিলেন ডা. মনবুর আলি।
অভিযোগকারী ছাত্রছাত্রীদের দাবি, অধ্যক্ষ এই সমস্ত বিষয় কিছুই জানেন না। সামনে এসেছে একটি চিঠি। সেখানে একজন অভিভাবক নিজেও অভিযোগ করেছেন মনবুরের বিরুদ্ধে। লিখেছেন, “আমার মেয়েকে পাশ করিয়ে দেবে বলেছিল মনবুর আলি। মেয়ের জন্য সাড়ে চার লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম মনবুর আলিকে। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও মেয়ে পরীক্ষায় পাশ করেনি।” জানা গিয়েছে, নগদ টাকার মাধ্যমেই ওই লেনদেন হয়েছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যকে লিখিত অভিযোগ করেছেন কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.