Advertisement
Advertisement

Breaking News

কলেজে অন্তর্ঘাত

পরীক্ষার আগে তছনছ সার্ভার রুম, বালিগঞ্জের বিএড কলেজে চুরির ঘটনায় অন্তর্ঘাতের আঁচ

ঘটনায় ধৃত দু'জনের কেউই কলেজের সঙ্গে জড়িত নয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Suspected sabotage behind the incident of theft at David Hare Training College
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 13, 2020 1:45 pm
  • Updated:September 13, 2020 1:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালিগঞ্জের ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজে (David Hare Training College)) দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দু’জনের কেউই কলেজের সঙ্গে জড়িত নয়, পিছনের বসতির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। তবে কলেজের অডিটোরিয়া, মিউজিক রুম যেভাবে তছনছ করা হয়েছে, ল্যাপটপ, কম্পিউটার চুরির পর যেভাবে তার ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে, তা দেখে বেশ সংশয়ী তদন্তকারীরা। তাঁদের একাংশের ধারণা, আগামী মাসে এই কলেজে পরীক্ষার আগে ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তর্ঘাত রয়েছে। সবটা খতিয়ে দেখছেন লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা এবং বালিগঞ্জ থানার আধিকারিকরা।

শুক্রবার রাতে বালিগঞ্জের (Ballygunge) এই বিএড কলেজের একাংশ দুষ্কৃতীদের হামলায় তছনছ হয়ে গিয়েছে। চারতলা বাড়িটির প্রতিটি তলায় হানা দিয়ে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান জিনিসপত্রও চুরি করে নিয়ে যায়। শনিবার সকালে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য পড়ে যায় অভিজাত বালিগঞ্জ এলাকায়। তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, পেশাদার চোরের দলই এই অপরাধ ঘটিয়েছে। তবে সাধারণত যতটা গোপনে চুরি করা হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে তার উলটোটাই ঘটেছে। ফলে দানা বেঁধেছে রহস্য। তাতে ঘি ঢেলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা অভিযোগ। অন্য কোনও উদ্দেশ্যেও এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে অভিযোগপত্রে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মহালয়ার সকালে ভক্তদের জন্য খুলবে না দক্ষিণেশ্বর মন্দির, বদলাচ্ছে দর্শনের সময়সূচিও]

জানা গিয়েছে, ডেভিড কলেজের পিছনের রাস্তা দিয়ে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। পিছনের দিকের ওই অংশে কোনও সিসিটিভি ছিল না। ফলে দুষ্কৃতীদের ঢোকা এবং বেরনো সম্পর্কে কোনও আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও রবিবার সকালে ডেভিড কলেজের পিছনের বসতি থেকে দুই যুবক গ্রেপ্তারের ঘটনায় ছবি কিছুটা স্পষ্ট হচ্ছে। তাদের জেরা করে সবটা জানতে চান তদন্তকারীরা। তবে কলেজের কেউ এর সঙ্গে জড়িত কি না, তা নিয়ে ঘোর সংশয় রয়েছে এখনও। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘পুলিশ মেরুদণ্ডহীন, উর্দি ছেড়ে সবজি বিক্রি করুক’, ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ]

কলেজের যে পরিমাণ সম্পত্তি ভাঙচুর হয়েছে, তা দেখে তদন্তকারীদের ধারণা, একদিনে তা সংঘটিত করা সম্ভব নয়। কলেজে দুষ্কৃতীদের একাধিকবার পা পড়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ছাড়াও পিতলের পাইপ, জলের দামি কল, কম্পিউটারের তার, এবং শিক্ষাকাজে ব্যবহৃত বহু মূল্যবান দ্রব্য খোয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি গোডাউন থেকে মিউজিক রুম, এমনকী অডিটরিয়ামেও যথেচ্ছ ভাঙচুর চলেছে। সার্ভার রুম থেকে মূল্যবান কেবল এবং যন্ত্রাংশ হাতিয়ে নিয়েছে চোরের দল। দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরাও চুরির ঘটনায় কোনও ইঙ্গিত দিতে পারছেন না। আগামী ১ অক্টোবর এখানে অনলাইনে পরীক্ষা হওয়ার কথা। তার আগে এই পরিস্থিতিতে অন্তর্ঘাতের সন্দেহ বাড়ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ