ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) স্বাস্থ্যসাথী আর মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের দক্ষ চিকিৎসক বাঁচিয়ে দিল ডান হাত। দুর্গাপুজোর আগে মারাত্মক এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের ৩০ বছরের যুবক সুজয় চক্রবর্তী। কলকাতায় দিনমজুরের কাজ করতেন সুজয়। ট্রাকে বাড়ি তৈরির মালপত্র ওঠানো নামানোর কাজ করেই দিন গুজরান। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভোররাতে বাড়ি ফেরার সময় মারাত্মক এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। রাত তখন প্রায় তিনটে। টেম্পো করে বাড়ি ফিরছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টেম্পো গাড়িটি ধাক্কা মারে বাইপাসের নবনির্মিত মেট্রোর পিলারে। গুরুতর চোট পান সুজয়। রড ঢুকে গিয়েছে ডান হাতের উপরে। পকেটে কয়েকটা মাত্র টাকা পড়ে।
চিকিৎসা হবে কী করে? স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিল নতুন জীবন। তা দেখিয়েই ভরতি হন মেডিকা সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। ওই টেম্পোর চালক জানিয়েছেন, দ্রুত নিকটবর্তী মেডিকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে বরফের বন্দোবস্ত করেন। রক্ত বেরোচ্ছিল গলগল করে। লোহার রড ঢুকে গিয়েছিল শরীর ফুঁড়ে। হাত দিয়ে তা টেনে বের করা সম্ভব ছিল না। নিয়ে আসা হয় মেটাল কাটার। রডটিকে কেটে বের করা হয় শরীর থেকে।
যেখান দিয়ে রডটি ঢুকেছিল সেখানকার কোষ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। দ্রুত তা মেরামতের কাজ শুরু করেন চিকিৎসকরা। যদিও মেটাল কাটারের উত্তাপে ত্বকের অনেকখানি পুড়ে গিয়েছিল। ক্ষত জায়গায় লেগেছিল ধুলো, নোংরা, লোহার গুঁড়ো। সে জায়গাটা দ্রুত স্যানিটাইজ করার প্রয়োজন ছিল। স্যালাইন ওয়াটার দিয়ে সে কাজ করা হয় দ্রুততার সঙ্গে।
ডা. উদ্দীপ্ত রায় জানিয়েছেন, আকস্মিক দুর্ঘটনায় রোগী শকের মধ্যে চলে গিয়েছিলেন। রড নিয়ে অত্যধিক টানাটানি করলে হিউমারাস হাড় সরে যেতে পারত। কিন্তু চিকিৎসকরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাঁকে সুস্থ করে তুলেছেন। আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না। তাই চিকিৎসা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন রোগী। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী আছে শুনে দেরি করেননি চিকিৎসকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.