অর্ণব আইচ: টালিগঞ্জ থানায় ঢুকে পুলিশ কর্মীদের মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। আগেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত৷ অন্যান্য অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। ওইদিন সার্দান অ্যাভেনিউ চত্বরে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিন যুবক। সকলেরই বাড়ি চেতলায়। মাঝরাস্তায় যথারীতি চেকিংয়ের জন্য বাইক আরোহীদের দাঁড়াতে বলেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু দাঁড়ানো তো দূর, উলটে পুলিশ আধিকারিকদেরই উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করে চম্পট দেয় ওই তিন যুবক। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পর মদ্যপ অবস্থায় তারা টালিগঞ্জ থানা এলাকাতেই অশান্তি করে বলেও অভিযোগ। এরপরই রণজয় হালদার নামে এক যুবক-সহ ৩ জনকে আটক করে টালিগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ কর্মীরা। রণজয় মদ্যপ অবস্থায় ফোন করে গোটা ঘটনাটি জানায় বন্ধু আকাশকে। এরপরই দলবল নিয়ে এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত আকাশ ও তার পিসি পুতুল চড়াও হয় টালিগঞ্জ থানায়।
বন্ধুকে দেখতে পেয়ে থানার ভিতর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায় রণজয়। সে সকলকে উসকানি দেয় পুলিশ কর্মীদের আক্রমণের। এমনকী সেই প্রথম পুলিশ কর্মীর গায়ে হাত তোলে বলে অভিযোগ। এরপরই সকলে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ কর্মীদের উপর। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। দীর্ঘক্ষণ পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। শহরের নাকা চেকিং করতে গিয়ে পুলিশকে যে এই প্রথমবার আক্রান্ত হতে হল, তা কিন্তু নয়। বরং এর আগে বেশ কয়েকবার একই ঘটনা ঘটেছে। দিন কয়েক আগে সৈয়দ আমির আলি অ্যাভেনিউতে পিছন থেকে টেনে ধরেও বাইক আরোহীকে থামাতে পারেননি কর্তব্যরত এক ট্রাফিক কনস্টেবল। উলটে ওই পুলিশকর্মীকেই ১০০ মিটার টেনে নিয়ে চলে যায় বাইকের আরোহী। শেষপর্যন্ত গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ট্রাফিক কনস্টেবল তপন ওঁরাও।
টালিগঞ্জ থানায় ঢুকে হামলার ঘটনায় এখনও জারি ধরপাকড়৷ সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.