Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘দলে ছিলাম, আছি, থাকব’, তৃণমূল ত্যাগের জল্পনা উড়িয়ে স্পষ্ট বার্তা সব্যসাচীর

মুকুলকে একহাত নিলেন বিধাননগরের মেয়র৷

 TMC patry's emergency meeting in Sreebhuvi Sporting Club
Published by: Tanujit Das
  • Posted:March 10, 2019 4:26 pm
  • Updated:March 10, 2019 7:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দলে ছিলাম, আছি, থাকব’৷ শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরে বাইরে এসে এমনই জানালেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ বললেন, ‘আমার বাড়িতে কেউ আসতে চাইলে, আমি কি তাঁকে তাড়িয়ে দেব? শুক্রবার রাতে ফোন করে মুকুল রায় আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ আমার বাড়িতে আসার কথা বলেন৷ আমি বলি আসো৷ দু’জনের মধ্যে কেবলমাত্র ক্রিকেট, ভারত-পাক সম্পর্ক, কেশপুর, নন্দীগ্রাম, নানুর ইত্যাদি বিষয়ে কথা হয়৷ লুচি-আলুরদম যেহেতু কারও বাড়িতে তৈরি থাকে না, তা সেটা তৈরি করতে যতটা সময় লেগেছিল, ততটা সময়ই উনি ছিলেন৷ সেটা খেয়েই আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মুকুল রায়৷ কেউ বলতে পারবে না আমি কোনও প্রেসকে ডেকেছি৷’

[ভোটে কারচুপি রুখতে নয়া দাওয়াই, স্ক্রু বদলের চেষ্টা হলেই বন্ধ হবে EVM ]

Advertisement

এদিনের বৈঠক শেষে বিজেপি এবং মুকুল রায়কে আক্রমণ করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও৷ তিনি বলেন, ‘‘বিনা নিমন্ত্রণে সব্যসাচীর বাড়িতে যান মুকুল রায়৷ তাঁর এমন অভিসন্ধি রয়েছে তা সব্যসাচীর জানা ছিল না৷ তৃণমূলের একটাই শত্রু তা হল বিজেপি৷ ওরা তৃণমূলে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে৷ কিন্তু তা সফল হবে না৷’’ বিধাননগরের মেয়র পদে রবিবারই কি শেষদিন সব্যসাচী দত্তের? এই প্রশ্নের উত্তরের খুঁজতেই এদিন দুপুর তিনটে থেকে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে শুরু হয় তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিল বিধাননগর পুরনিগমের সমস্ত কাউন্সিলররা৷ সূত্রের খবর, উক্ত বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন সব্যসাচী দত্ত৷ স্পষ্ট ভাষায় জানান, তাঁর দলত্যাগের যে সম্ভাবনা সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে, তা ভ্রান্ত৷ এর আগে, রবিবার সকালে সব্যসাচী দত্তের সল্টলেকের বাড়িতে যান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন৷ সূত্রের খবর, দু’জনের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা হয়৷ বিধাননগরের মেয়রকে দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার প্রস্তাবটি তিনিই প্রথম দিয়েছিলেন৷

Advertisement

[পুলিশের পোশাকে যজ্ঞ! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি ঘিরে বিতর্ক]

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ এরপর থেকেই সব্যসাচীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা ছড়ায়৷ এমনকী, শনিবার তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কোর কমিটির বৈঠকেও গরহাজির ছিলেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ যদিও তাঁর যুক্তি ছিল, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৈঠকে হাজির থাকেননি তিনি৷ মুকুল রায় যখন তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ ছিলেন, তখন তাঁর অনুগামীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সব্যসাচী৷ পরিচিত মহলে মুকুল রায়কে নিজের রাজনৈতিক গুরু বলেও পরিচয় দিতেন বিধাননগরের মেয়র৷ এমনকী, তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করলেও গুরু-শিষ্যের সম্পর্কে ফাঁটল ধরেনি বলে একাধিকবার জানিয়েছেন মুকুল রায়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ