Advertisement
Advertisement

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, অভিষেকের নেতৃত্বে গান্ধীমূর্তিতে ধরনায় তৃণমূল

পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরে কর্মীদের প্রতিবাদ জানানোর ডাক যুব সভাপতির৷

TMC protests fuel price rise in Kolkata , stages dharna
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 29, 2018 5:30 pm
  • Updated:May 29, 2018 5:30 pm

স্টাফ রিপোর্টার: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক। অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক বর্ধিত মূল্য। এই দাবি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই বিক্ষোভে শামিল ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষনেতৃত্ব৷ ইঙ্গিত মিলেছে, কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে আরও জোরদার হবে আন্দোলন৷

[ট্রেনের ছাদে উঠে বিপত্তি, ওভারহেডের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল ভবঘুরের]

Advertisement

পরিবহণক্ষেত্রে, কৃষিক্ষেত্রে যে প্রতিদিন জ্বালানির বোঝা বাড়ছে, কেন সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করছে না? সপ্তাহের শুরুর দিনই এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৈফিয়ত চেয়েই টুইট করেন। বলেন, “জ্বালানির তেলের মূল্য প্রতিদিন বাড়ছে। প্রত্যেকের উপর তার প্রভাব পড়ছে। কেন কেন্দ্র এ নিয়ে সমাধানের পথ বের করছে না? অবিলম্বে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদক্ষেপ করা উচিত। সরকারের সক্রিয় হওয়া উচিত।” এই ঘটনার প্রতিবাদেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাজপথে নামে তৃণমূল। যাতে শামিল হয় সমস্ত শাখা সংগঠন। কলকাতার মতোই জেলায় জেলায় চলে প্রতিবাদ৷ মঙ্গলবার গান্ধীমূর্তির বিক্ষোভে উপস্থিত হন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ দলের সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়করা। উপস্থিতি নজরে আসে সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, শুভাশিস চক্রবর্তী, শান্তনু সেন, দেবাশিস কুমার, অঞ্জন দাস, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের মতো শীর্ষ নেতৃত্বের৷

Advertisement

[মোবাইলের ‘সিম সোয়াইপ’ করে উধাও ২৬ হাজার টাকা]

বস্তুত, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। অভিষেকের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি তুলে পথে নেমেছিল রাজ্যের শাসকদল। যতদিন না এই মূল্য প্রত্যাহার করা হবে, ততদিন এই প্রতিবাদ চলবে বলে জানিয়েছিলেন যুবনেতা। তার মধে এদিনই এই ঘটনায় কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সরব হন তৃণমূলনেত্রী। অভিযোগ করে মমতা বলেন, “কৃষিক্ষেত্র, পরিবহণক্ষেত্র-সহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের ঘাড়ে জোর করে কেন্দ্র বোঝা চাপাচ্ছে। সমস্যা না এড়িয়ে সমাধানের পথ খোঁজা উচিত সরকারের।” এর পরই এ নিয়ে আরও সক্রিয় হয়ে প্রতিবাদের তীব্রতা বাড়ায় তাঁর দলও। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়ে দেন, “এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষের জীবন তাদের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। তার জন্যই আমরা প্রতিবাদে পথে নামছি।” রাজ্য জ্বালানি তেলের মূল্যের উপর তাদের নিজেদের কর চাপায়। সেই কর তুলে নেওয়ার দাবি জানায় বিরোধীরা। পার্থবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার কমালেই তো সেই সুরাহাটা মিলবে। তারা যে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের খুঁটি বোধহয় অন্য কোথাও বাঁধা আছে।” এরপরই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণের নিশানা করে নেন তৃণমূলের মহাসচিব। বলেন, “নিজের আশপাশের মানুষের থেকে খবর নিয়ে উনি ভাবছেন ওঁর ৪৬ ইঞ্চির ছাতি আরও চওড়া হয়ে গেল। আসলে ওঁর ছাতি যে আস্তে আস্তে দুর্বল হচ্ছে তা উনি ২০১৯-এ বুঝতে পারবেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ