ফাইল ছবি
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাম, বিজেপির পর এবার সন্দেশখালির পথে তৃণমূল। তবে সন্দেশখালি থানা এলাকায় আপাতত জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। তাই আইন অনুযায়ী, সন্দেশখালি সংলগ্ন ১৪৪ ধারার বাইরে থাকা এলাকায় যাচ্ছে তৃণমূল প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার ওই এলাকায় যাবেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী এবং নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।
তৃণমূলের তরফে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ১৮ জানুয়ারি অর্থাৎ রবিবার সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করতে পারে প্রশাসন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৪৪ ধারা ওঠার পর সেখানে ওইদিনই শান্তিসভা করবে তৃণমূল। সভায় থাকবেন পার্থ ভৌমিক, রথীন ঘোষ, নারায়ণ গোস্বামী, ব্রাত্য বসু, তাপস রায়, সুকুমার মাহাতো, নির্মল ঘোষ এবং সুজিত বসু। তাঁরা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কোর কমিটির সদস্য প্রত্যেকে।
উল্লেখ্য, আপাতত ইডির স্ক্যানারে শেখ শাহজাহান। অন্তর্ধান রহস্যের এখনও কিনারা হয়নি। তারই মাঝে শাহজাহান এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেপ্তারির দাবিতে ফুঁসছে সন্দেশখালি। গত বুধবার বিকেল থেকে দফায় দফায় অশান্তি লেগেই রয়েছে বসিরহাটের সন্দেশখালি থানার ত্রিমোহিনী থেকে কাহারপাড়া, দাশপাড়া ও পাত্রপাড়ার মতো একাধিক গ্রাম। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, মহিলাদের বিক্ষোভে থমথমে গোটা এলাকা। অশান্তি সামাল দিতে শুক্রবার গভীর রাত থেকে এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। তবে নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শনি এবং রবিবার বাম এবং বিজেপি প্রতিনিধিদল সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও মাঝপথেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.