সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশার তাগিদে সকাল হতেই কাজে বেরিয়ে যান বাবা-মা। শনিবারও তাই সকালে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ঘরে একলা রেখেছিলেন তিন বছরের ছোট্ট শিশুটিকে। কিন্তু সেটাই কাল হল। ফাঁকা ঘরের মধ্যে খেলতে খেলতেই আগুনে পুড়ে মারা গেল তিন বছরের শিশু কৌস্তুভ। শনিবার বেহালার বামাচরণ রোডে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে।
(‘২০০ জনেরও বেশি মহিলাকে ধর্ষণ করেছি’, স্বীকারোক্তি আইএস জঙ্গির)
এদিন সকাল সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান পেশায় লরিচালক কৌস্তুভের বাবা বিশ্বনাথ। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যান মা। সেসময় বন্ধ বাড়িতে খেলা করছিল সে। আটটা নাগাদ হঠাৎই পোড়া গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। এসে দেখেন দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়িটি। তাঁরা জানতেন ভিতরে একা থাকে বাচ্চাটি। তাই তড়িঘড়ি সবাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। দমকলে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। তবে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। আগুন থেকে বাঁচতে হাজার চেষ্টা করেও সফল হয়নি শিশুটি। শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে যায়। এরপর শিশুটিকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে সন্দেহ, ঘরে জ্বলতে থাকা মশার ধূপ থেকেই আগুন লেগেছে। অনেকে মনে করছেন, শটসার্কিট থেকেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
(অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য আর্থিক বরাদ্দ কমাল কেন্দ্র)
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “অনেক চেষ্টা করেও শিশুটিকে বাঁচানো গেল না এটাই আফশোস!” পরে শিশুটির বাবা ও মাকে খবর দেওয়া হয়৷ ঘটনার কথা জানার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা৷ শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, দারিদ্র বড় অভিশাপ৷ কাজ না করলে ভাত জোগাড় হবে না৷ তাই বাধ্য হয়েই দু’জনে কাজ করি৷ কিন্তু এভাবে ছেলেকে হারাতে হবে বুঝতে পারিনি।