Advertisement
Advertisement

Breaking News

পাঁচদিনের টানাপোড়েন শেষ, মৃত্যু হল অগ্নিদগ্ধ ছোট্ট দিয়ার

হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শিশুর মা।

Toddler with burn injury denied treatment
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 14, 2019 7:18 pm
  • Updated:March 14, 2019 8:23 pm

স্টাফ রিপোর্টার: টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে থমকে গেল ছোট্ট প্রাণ। অবশেষে মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা দিয়া দাসের। বৃহস্পতিবার সকালে আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দিয়ার শরীরের ৮৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দিয়াকে ফিরিয়ে দিয়েছিল শহরের চার হাসপাতাল। জেলা থেকে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দগ্ধ শিশুকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরতে হয়েছিল দিয়ার বাবা-মাকে।

[ ইসলামপুরে আক্রান্ত বিজেপি নেতা, অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে]

ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার।  মোমবাতি থেকে জামায় আগুন লেগে পুড়ে গিয়েছিল দিয়ার শরীরের ৮০ শতাংশ। তড়িঘড়ি মেয়েকে নিয়ে বারাসত হাসপাতালে যান তার মা-বাবা। সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। শনিবার সকালে মেয়েকে নিয়ে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান তার মা-বাবা। অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর নীলরতনে বেড নেই বলেই জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে দিয়াকে নিয়ে ভবানীপুর শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে যান তার মা-বাবা। সেখানেও ফাঁকা ছিল না বেড। এরপর ভবানীপুর থেকে দিয়াকে ফুলবাগানের বি সি রায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বি সি রায় শিশু হাসপাতালেও ঠাঁই  হয়নি তার। অবশেষে শনিবার বিকেলে আর জি কর হাসপাতালে ভরতি করা হয় দিয়াকে।

Advertisement

[ জঙ্গলে বিপদ, কুকুরের আক্রমণে প্রাণ গেল তিনটি চিতল হরিণের ]

সেইসময় আর জি করের চিকিৎসকরা জানান, মেয়েটির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গোটা ঘটনায় ভেঙে পড়েন দিয়ার মা-বাবা। পরে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় দিয়ার। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েন ওই শিশুর মা। তিনি জানিয়েছেন, দগদগে ফোসকা নিয়েই মেয়েটাকে সঙ্গে করে এই হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরেছি। কেউ চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেনি। হাসপাতালের চিকিৎসক প্লাস্টিক সার্জেন রূপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মোমবাতি থেকে আগুন লাগায় অনেকটা ধোঁয়া দিয়ার ফুসফুসে চলে গিয়েছিল। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ফুসফুস। সেই কারণে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ