Advertisement
Advertisement

Breaking News

সিগন্যালে ‘শিখণ্ডী’ খাড়া করছে রাজ্য সিভিক পুলিশ

ঠিক হয়েছে যে এলাকায় তাঁদের বাড়ি সেই থানার অধীনেই সিভিক পুলিশ ভলাণ্টিয়ার পদে কাজ দেওয়া হবে তাঁদের৷

Trangenders will be appointed as traffic volunteers in Kolkata
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 20, 2016 9:26 am
  • Updated:September 20, 2016 9:27 am

অভিরূপ দাস: ট্রাফিক সিগন্যালে  গাড়ি দাঁড়ালে যে দৈনন্দিন চিত্র ভেসে উঠত তা পাল্টে যাবে দুর্গাপুজোর দিন থেকে৷ রাস্তার সিগন্যালে যে হাতগুলি পয়সা চাইত, এবার সেই হাতগুলি ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করলে লাইসেন্স চাইবে৷ পুজোয় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে রাস্তার ট্রাফিক সামলাবেন কিন্নররা৷ পুলিশের ভূমিকায় বোধন হবে এ রাজ্যের কিন্নরদের৷ এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন৷

সরকারি হিসাবে রাজ্যে কিন্নরের সংখ্যা ৩০ হাজার ৩৪৯৷  সিভিক পুলিশ ভলাণ্টিয়ার ফোর্সে (সিপিভিসি) ‘হিজড়ে’-দের নিযুক্ত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুরু হয়েছে নাম নথিভুক্তকরণ৷

Advertisement

কী কাজ থাকে সিভিক পুলিশ ভলাণ্টিয়ারদের? মূলত শহরের রাস্তায় ট্রাফিকের যে নিয়মাবলি তার দিকেই কড়া নজর রাখেন সিভিক পুলিশ ভলাণ্টিয়াররা৷

Advertisement

শহরের ববি হিজড়া কিরণ বিশ্বাসরা জানিয়েছেন, সম্মানের কাজে যোগ দিতে তৈরি তাঁরা৷ তবে কর্মক্ষেত্রে সম্বোধন নিয়ে সামান্য আপত্তি রয়েছে তাঁদের৷ তাঁদের দাবি হিজড়া না বলে তাঁদের কিন্নর বলতে হবে যাতে কাজের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সম্মানটুকুও পায়৷ মেটিয়াবুরুজ থেকে আক্রা, সর্বত্রই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিন্নরদের সঙ্গে কথা বলছেন রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা৷ ছবি, জন্ম-তারিখ কোন এলাকায় তাঁরা কাজ করেন, সমস্ত কিছুই নথিভুক্ত করা হচ্ছে৷ ঠিক হয়েছে যে এলাকায় তাঁদের বাড়ি সেই থানার অধীনেই সিভিক পুলিশ ভলাণ্টিয়ার পদে কাজ দেওয়া হবে তাঁদের৷

সুপ্রিম কোর্ট রূপান্তরকামীদের তৃতীয় লিঙ্গের মর্যাদা দেওয়ার পরেই তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের মতো ২০১৪-এর জুলাইয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন বোর্ড তৈরি করে৷ রাজ্যের নারী, শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছিলেন, এই ট্রান্সজেন্ডার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের কাজ কেবলমাত্র রাজ্যের কিন্নর ও রূপান্তরকামীদের সুরক্ষা দেওয়াই নয়, তাঁদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা৷ এমন কাজ তাঁদের দিতে হবে যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছ থেকে তাঁরা প্রাপ্য সম্মান আদায় করে নিতে পারেন৷ সেই অনুযায়ী প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়েস্থর সঙ্গে যৌথ বৈঠকও করেছিল নারী-শিশু কল্যাণ দফতর৷ তখনই ঠিক হয়েছিল শহরের সিভিক পুলিশ ভলাণ্টিয়ার হিসাবে কাজ করবেন কিন্নররা৷

ভিক্ষে করেই যাঁরা দিন-গুজরান করেন তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটুকু কেউ দেয় না৷ টাকার বদলে অনেকক্ষেত্রেই জোটে গলাধাক্কা, কটু মন্তব্য বা কুপ্রস্তাব৷

যদিও সাধারণ মানুষের কাছে কিন্নরদের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা সাঙঘাতিক৷ রাস্তায়, পার্কে জোর করে পয়সা চাওয়ার সে গল্প শুনে অবাক জাসমিন, কিরণরা৷ মেটিয়াবুরুজের কিরণ জানিয়েছেন, রাস্তায়ে অনেক পুরুষই রোজগারের তাগিদে কিন্নর সাজেন৷ তাই তাঁর দাবি রাজ্য সরকার যেন দায়িত্ব নিয়ে যাঁরা সত্যিকারের কিন্নর তাঁদেরই চাকরি দেন৷

গত বছর প্রথম ‘কলকাতাশ্রী’ বিচারক হয়ে আলোয় ফিরেছিলেন তাঁরা৷ নতুন সিভিক ভলাণ্টিয়ারের কাজ সে বৃত্তই সম্পূর্ণ করবে বলবে মনে করছেন নুসরত, ফিরোজের মতো কিন্নররা৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ