গৌতম ব্রহ্ম: করোনা ভাইরাস সতর্কতায় প্রথম থেকেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু হু হু করে সন্দেহভাজনদের সংখ্যা বাড়ায় নাজেহাল ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চাপ কমাতে নয়া উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ানো হল বাঙ্গুর এবং আরজি কর হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা। রোগীদের পরিষেবায় অতিরিক্ত অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ নবান্নে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভিড় জমানো রোগীদের কথা মাথায় রেখে বেলেঘাটা আইডিতে বাড়ানো হল শয্যাসংখ্যা। বর্তমানে শয্যাসংখ্যা ২২ থেকে বেড়ে ১০০টি করা হল। আরজি করেও শয্যাসংখ্যা বাড়িয়ে ৫০টি করা হল। বাঙ্গুর হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হল ১৫০টি। এছাড়াও নতুন করে অত্যাধুনিক একটি পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ডও চালু করা হল। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, “রোগ মোকাবিলায় হাসপাতালে রাখুন ECMO যন্ত্র।” ইতিমধ্যে এই মেশিন দু’টি রয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। আরও ১০টি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে পোলবার পুলকার দুর্ঘটনায় জখম খুদে পড়ুয়া ঋষভের চিকিৎসাতেও ECMO যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। ওই যন্ত্রটি শিশুর ফুসফুসের বিকল্প হিসাবে কাজ করা হয়। যেহেতু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ফুসফুসে সংক্রমণ হতে পারে। তাই তাঁদের চিকিৎসাতেও এই যন্ত্র কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় আরও তৎপর বাঙ্গুর হাসপাতাল, তৈরি নয়া আইসোলেশন ওয়ার্ড]
করোনা পরিস্থিতিতে অনেক সময়ই অভিযোগ উঠছে অ্যাম্বুল্যান্স পাচ্ছেন না রোগীরা। এই সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত এবার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে কমপক্ষে পাঁচটি করে অ্যাম্বুল্যান্স রাখা থাকবে। যা করোনা সন্দেহভাজনরা ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি না হয় তাই একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর একটাই আরজি, “ব্যবসা না করে রোগ মোকাবিলায় এগিয়ে আসুন।”