Advertisement
Advertisement
WB Health Commission

বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের পানীয় জল বিনামূল্যে, আরও ৩ সুপারিশ স্বাস্থ্য কমিশনের

বেড ভাড়া নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করল কমিশন।

WB Health Commission issues 4 advisories for Private Hospital | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 18, 2022 9:43 pm
  • Updated:April 18, 2022 9:43 pm

অভিরূপ দাস: হাসপাতালের বিলে যুক্ত হয় জলের খরচও! ব্যাপারটা যদিও নতুন নয়। বহু বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা চলাকালীন পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়ার জন্য আলাদা টাকা নেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের (WB Health Commission) নতুন অ্যাডভাইজরি অনুযায়ী পরিশ্রুত পানীয় জল রোগীকে দিতে হবে বিনামূল্যে।

রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,দেখা যায়, ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে রয়েছে বা কোমা স্টেজে রয়েছে এমন রোগীর কাছ থেকেও ৫০ লিটার, ১০০ লিটার জলের দাম নেওয়া হয়েছে বিলে। এবার থেকে আর জলের দাম নেওয়া যাবে না। কোনও রোগী যদি নিজে কোনও বিশেষ কোম্পানির মিনারেল ওয়াটার চায় একমাত্র সেক্ষেত্রেই টাকা নেওয়া যাবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যে সাড়ে ১১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, প্রচুর কর্মসংস্থানের ঘোষণা নবান্নর]

মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য সোমবার চারটে অ্যাডভাইজরি বা সুপারিশ জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। যেখানে তুলে নেওয়া হয়েছে পুরনো এক সুপারিশ। করোনা আবহে রোগীর ঢল উপচে পরেছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন সে সময় নিয়ম করেছিল, ১ মার্চ ২০২০ সালের যা বেড চার্জ প্রতিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সেটাই বহাল রাখতে হবে। করোনার জন্য যেন বেড চার্জ না বাড়ানো হয়। কমিশন চেয়ারম্যান এদিন জানিয়েছেন, যেহেতু করোনা বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে তাই সে সুপারিশ তুলে নেওয়া হল। বেড ভাড়া চাইলে বাড়াতে পারবে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে বছরে একবারের বেশি তা বাড়ানো যাবে না। এবং ভাড়া ১০ শতাংশের বেশি কখনওই নয়।

Advertisement

কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের সভাপতি রূপক বড়ুয়া। রূপক বড়ুয়া জানিয়েছেন, “বাকি তিনটে যে সুপারিশ কমিশন জারি করেছে তার মধ্যে প্রতিটিই আমরা মেনে চলি।” বাকি তিনটি সুপারিশ কী? সাধারণ বেড চার্জ ৩ হাজার টাকা হলে আইসিসিইউ বা সিসিইউয়ের চার্জ অনেক বেশি। কারণ ওই সমস্ত বিভাগে অনেক উন্নততর চিকিৎসা দিতে হয়। উন্নতমানের যন্ত্র বসানো থাকে। কমিশন চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আরএমও-র জন্য আলাদা করে টাকা নেওয়া হয়। সেই টাকা নেওয়া যাবে না। এছাড়াও ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে কিছু প্রাত্যহিক কাজকর্ম থাকে। যার মধ্যে রয়েছে রোগীর ক্যানুলা লাইন করা, রাইলস টিউব লাগানো, ক্যাথিটার লাগানো ইত্যাদি। এর জন্য আলাদা করে চার্জ নেওয়া যাবে না।

[আরও পড়ুন: আগামী ১০ দিনে অসমেও মমতা ম্যাজিক! ‘বড় খেলা’র ইঙ্গিত সুস্মিতা দেবের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ