Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিজেপি

রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ফণীর মোকাবিলায় সরকারকে সাহায্যের আশ্বাস রাজ্য বিজেপির

অমিত শাহের প্রচার কর্মসূচিতে রদবদল৷

West Bengal BJP offer help to State Govt. to fight against Fani
Published by: Tanujit Das
  • Posted:May 3, 2019 8:06 pm
  • Updated:May 3, 2019 8:06 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ফণীর মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় এগিয়ে এল রাজ্য বিজেপি৷ ঘূর্ণিঝড়ের রেড অ্যালার্ট জারি হওয়া দক্ষিণবঙ্গের আট জেলার সমস্ত নেতা, কার্যকর্তাদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা পৌঁছে দিলেন কৈলাস, দিলীপ, মুকুলরা৷ বিপর্যস্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীদের৷

[ আরও পড়ুন:শিয়রে ফণী, খারাপ পরিস্থিতিতে মেট্রো বন্ধের ভাবনা কর্তৃপক্ষের]

Advertisement

বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, ‘‘রাজনীতির ঊর্ধে উঠে এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়৷ এক্ষেত্রে আমরা রাজ্য সরকারকে সব রকম ভাবে সাহায্য করব৷ প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও সাহায্য চাইবে। সাধারণ মানুষকে সর্বত ভাবে সাহায্য করার জন্য আট জেলায় আমাদের কার্যকর্তা নির্দেশ পাঠান হয়েছে৷ তাঁরাও মানুষের পাশে রয়েছে৷’’ জানা গিয়েছে, মুখ্য সচিব মলয় দে’র কাছে ইতিমধ্যে এই মর্মে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে রাজ্য বিজেপির নেতারা৷ ফণীর প্রভাবে আগেই সমস্ত প্রচার কর্মসূচিতে রদবদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ খড়গপুরে থেকে সমগ্র পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তিনি৷ এবার একই পথে হাঁটলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ আগামী ৬ এপ্রিল মেদিনীপুর, ঘাটাল ও বিষ্ণুপুরে শাহের সভা পিছিয়ে ৭ এপ্রিল করা হয়েছে৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: মাত্র কয়েকশো কিমি দূরে ‘ফণী’, বিকালেই কলকাতায় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ]

আশঙ্কা মতো শুক্রবার সকাল থেকেই অন্ধ্র ও ওড়িশাতে দাপট দেখাতে শুরু করেছে ফণী৷ মৃত্যু হয়েছে তিনজনের৷ দিঘা, মন্দারমণির মতো এরাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাতেও জারি হয়েছে হাই এলার্ট৷ রাতেই শহর কলকাতায় প্রবেশ করবে এই ঘূর্ণিঝড়৷ গভীর রাতে আরও শক্তি বৃদ্ধি করবে ঘূর্ণিঝড়ের৷ শুক্রবার দুপুরেই অধিকাংশ অফিস ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। নবান্ন থেকে বিধানসভা, এমনকী বেসরকারি অফিসও দুপুরে ছুটি হয়ে যায়। রাজ্য প্রশাসন অবশ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে শহরের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। কলকাতা পুলিশও বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলেছে। দুর্বল সেতুগুলিতে দুপুরের পর থেকেই যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তার পাশের প্রচুর হোর্ডিং খুলে নেওয়া হয়েছে। বিপজ্জনক দুর্বল বাড়ি ও আবাসন থেকে আবাসিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ