Advertisement
Advertisement

Breaking News

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

‘বাংলাকে বন্যায় ভাসানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র’, বিধানসভায় অভিযোগ মমতার

ডিভিসি-সহ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী৷

West Bengal's CM Mamata Banerjee attacks Central government
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 9, 2019 5:56 pm
  • Updated:July 9, 2019 5:56 pm

স্টাফ রিপোর্টার: ফরাক্কা ব্যারেজ সংস্কারের অভাবেই প্রতি বছর বন্যার কবলে পড়তে হচ্ছে বাংলাকে। কেন্দ্রকে বারবার বলেও জবাব মেলে না বলে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেন, “ফরাক্কা সংস্কার করেনি ডিভিসি। আর ঝাড়খন্ডের জলে প্রত্যেকবার ভেসে যাচ্ছে বাংলা। সব জল বাংলায় ছেড়ে দেয়। বাংলা মায়ের আঁচল তো কেন্দ্র পুরো জলে ভরে দেবে।”  

[ আরও পড়ুন: বিজেপিতে গুটখার গন্ধ! তৃণমূলে ফিরলেন হালিশহরের চেয়ারম্যান-সহ ৮ কাউন্সিলর]

বর্ষা আসার কিছু পরেই দেখা যায় হাওড়া, হুগলি ভাসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি। ডিভিসি-সহ কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে যা নিয়ে প্রত্যেকবার সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। আজও তার ব্যতিক্রম হল না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিভিসি ফরাক্কা সংস্কারের কাজ করেনি। সেই কারণেই বাঁকুড়া, হুগলি জলে ভেসে যায়। ঝাড়খণ্ডে বন্যা হলে আমাদের এখানে জল চলে আসে। অন্যের জলে আমাদের ভুগতে হয়। এখানে বন্যা হয়। আমরা কেন্দ্রকে বারবার সংস্কারের কথা বলেছিলাম।” পূর্ণিয়ার জলে একবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আমি নিজে সে সময় গিয়ে দেখে এসেছিলাম। বিহারের পূর্ণিয়া থেকে জল ঢুকেছিল।” কেন্দ্রকে তাঁর তোপ, “আমরা কেন্দ্রকে বারবার বলছি। কোনও কাজ হচ্ছে না।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: রাহুলের পথে হেঁটে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়লেন সোমেন মিত্র]

বন্যার জল ঢুকিয়ে বাংলাকে বিপর্যস্ত করার অভিযোগও তোলেন কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে। মমতার কথায়, “১২-১৫ বছর ধরে এটা দেখছি। মনে হচ্ছে বাংলার সব দখল করে নেবে। হয় বিহার-ভুটানের দিক থেকে না হলে ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে জল ছেড়ে দিচ্ছে।” তাঁর কথায়, “বাজেট এলেই ধুয়ো দেখায়। বাংলা যেন সবটা বহন করে নেবে। সব জল বাংলায় ছেড়ে দেয়।” একইসঙ্গে বিধায়ক নর্মদা রায়ের প্রশ্নের জবাবে বালুরঘাটের নদী আত্রেয়ী নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নদী ভুটান হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে আবার বালুরঘাটে প্রবেশ করে ঘুরে চলে গিয়েছে বাংলাদেশেই। বাঁধ দেওয়া রয়েছে বালুরঘাটে ঢোকার মুখে। মমতা বলেন, “এটা ইন্দো-বাংলাদেশের বিষয়। দু’জনকেই জানিয়েছি। দু’দেশের বৈঠকে এ নিয়ে কথা বলা দরকার। সুষমাজিকে আগেই বলেছি। এরা সবটাই ক্যাজুয়ালি নেয়।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ