BREAKING NEWS

১১ চৈত্র  ১৪২৯  রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

রাহুলের পথে হেঁটে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়লেন সোমেন মিত্র

Published by: Soumya Mukherjee |    Posted: July 9, 2019 1:24 pm|    Updated: July 9, 2019 2:10 pm

State congress president Somen mitra tender his resignation

রাহুল চক্রবর্তী: রাহুল গান্ধীর পথেই হাঁটলেন সোমেন মিত্র। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। লোকসভা ভোটে এই রাজ্যে ভাল ফল করেনি কংগ্রেস। গতবারের থেকেও কম আসন পেয়েছে। সেই ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইস্তফা দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যদি তাঁর পদত্যাগপত্র এখনও গৃহীত হয়নি বলে কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন-গান পয়েন্টে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার শিক্ষক]

এপ্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি জানান, “লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে পারেনি কংগ্রেস। এই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। গোটা দেশের মতো এই রাজ্যও কংগ্রেস ভাল ফল করেনি। তাই আমিও ইস্তফা দিয়েছি।”

Somen Mitra, resign

লোকসভা নির্বাচনের ব্যর্থতা কাঁধে তুলে নিয়ে সভাপতি পদে আর ফিরতে চান না রাহুল গান্ধী। তিনি যে তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় তা টুইটারে খোলা চিঠি পোস্ট করার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করে দিয়েছেন। তারপর থেকে দেশজুড়ে কংগ্রেসের বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফার হিড়িক পরে যায়। এই রাজ্যেও কয়েকদিন আগে ইস্তফা দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ওমপ্রকাশ মিশ্র। আর এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র।

[আরও পড়ুন- বিপদ ডাকছে বেপরোয়া গতি, সচেতনতা বাড়াতে ছাত্রদের হেলমেট বিলি পুলিশের]

এপ্রসঙ্গে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান অমিতাভ চক্রবর্তী। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শ্রী সোমেন মিত্র গত ২৪ মে লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। যদিও লোকসভা নির্বাচনের পাঁচমাস আগে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন তথাপি সেদিনই তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। সহকর্মীদের অনুরোধে তিনি প্রদেশ সভাপতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর পদত্যাগ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি গ্রহণ না করায়, তিনি আশা করেছিলেন যে রাহুল গান্ধীই সভাপতি থাকবেন। কিন্তু, রাহুল গান্ধীর অনড় মনোভাবের পরে তাঁর বক্তব্য, রাহুল গান্ধীই তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব দেন। যখন তিনিই কংগ্রেস সভাপতি থাকবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন আমারও প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব আঁকড়ে থাকার কোনও মানে হয় না। গত পরশু তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। এর আগেও ১৯৯৮ সালে, বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আরও বক্তব্য যে রাহুল গান্ধীর পদত্যাগ অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক, দলকে অতি শীঘ্র একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

এই কথা জানতে পেরে গতকাল দিল্লিতে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক শ্রী গৌরব গগৈ সোমেন মিত্রর সঙ্গে দেখা করেছেন। এবং এআইসিসি যে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবে না বলে তা জানিয়ে দিয়েছেন। সোমেন মিত্রকে নতুন উদ্যমে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। আগামী ১৯ জুলাই জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের ডাকা সভা থেকেই রাজ্য কংগ্রেসের রোড ম্যাপ তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেদিন সভাতে এআইসিসি-র প্রতিনিধি থাকবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। গৌরব গগৈ বলেন, জাতীয় স্তরে নতুন কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা হওয়ার পরে তিনিই স্থির করবেন কোনও রাজ্যে কে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকবেন। তাই কংগ্রেস সভাপতির অফিস সোমেন মিত্রের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন না।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে