Advertisement
Advertisement
কর্ণাটক

আরও সংকটে কর্ণাটক সরকার, বিদ্রোহী বিধায়কদের ফেরাতে ইস্তফা সব মন্ত্রীর!

দাক্ষিণাত্যে ফের শুরু 'রিসর্ট পলিটিক্স'।

Congress-JD (s) government in Karnataka faces upheaval
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 8, 2019 5:50 pm
  • Updated:July 8, 2019 7:25 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংকটের মধ্যে সরকার বাঁচাতে অভিনব পদক্ষেপ কংগ্রেস-জেডিএস জোটের। দফায় দফায় বৈঠকের পর কর্ণাটক মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন কংগ্রেসের ২১ জন মন্ত্রীই। পদ ছেড়েছেন জেডিএসের সব মন্ত্রীও। এদের জায়গায় বিদ্রোহী বিধায়কদের মন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক সরকার।  এদিকে, ইস্তফার হিড়িক চলছেই। সোমবার পদত্যাগ করেছেন আরও দুই বিধায়ক। যার ফলে কংগ্রেস-জনতা দল জোট সরকারের ভবিষ্যৎ আরও বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ফের গোরক্ষকদের তাণ্ডব, মধ্যপ্রদেশে ২৫ জনকে গরু পাচারকারী সন্দেহে বেঁধে মার]

গত সপ্তাহেই ১৩জন বিধায়ক পদত্যাগ করেন। এদিনের এই জোড়া পদত্যাগে কুমারস্বামী সরকার কার্যত ভেন্টিলেশনে চলে গেল। শাসক দলের বিধায়করা শিবির বদলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বিধানসভায় শাসকদলের বিধায়ক সংখ্যা ১০৫। বিরোধী বিজেপির ১০৬। সরকারের টালমাটাল অবস্থার খবর পেয়ে আমেরিকা থেকে রবিবার বিকেলেই দেশে ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। এদিন জেডিএসের তরফে বলা হয়, পদত্যাগী ছয় বিধায়ক ফের ফিরে আসবেন। অন্যদিকে, পদত্যাগীরা বিজেপির দেওয়া চাটার্ড প্লেনে চেপে মুম্বইয়ের হোটেলে গিয়ে উঠেছেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। যদিও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এদিন বলেন বিধায়ক কেনা-বেচায় বিজেপি কোনওদিন যুক্ত ছিল না, আজও নেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আজ সংসদে শুরু বাজেট বিতর্ক, সরকারকে ঘিরে ধরতে তৈরি বিরোধীরা]

জেডিএসের তরফে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। তাঁর দাবি, সরকার পড়বে না। দলত্যাগীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ফিরে আসবেন বলে কংগ্রেসেরও দাবি। সূত্রের খবর, দুই শিবিরই চাইছে যেনতেনপ্রকারেণ সরকার বাঁচিয়ে রাখতে। আর সেজন্যই কংগ্রেসের সব মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এদিন সকালে দলীয় বিধায়কদের প্রাতঃরাশে ডেকে ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বিদ্রোহী বিধায়করা ছাড়া বাকি সকলেই ছিলেন বলে দাবি। জেডিএস-কংগ্রেস আপাতত নিজেদের বিধায়কদের রিসর্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।এদিকে নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না বিজেপিও। কারণ, গেরুয়া শিবিরের এক বিধায়কও নাকি যোগাযোগ রাখছে শাসক কংগ্রেস-জেডিএসের সঙ্গে। সেক্ষেত্রে ধাক্কা খেতে পারে বিজেপিও। সব মিলিয়ে এখন কর্ণাটকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি রীতিমতো ডামাডোল।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ