সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্তফা দেওয়ার পরেই কর্ণাটকের ১১ জন বিধায়ক উড়ে গিয়েছেন মুম্বই। রয়েছেন ফাইভস্টার হোটেল। পুরো বিষয়টির পিছনেই বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করছে কংগ্রেস ও জেডিএস। এদিকে, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে কর্ণাটকের সরকার বদল হওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা! কুমারস্বামীরও মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁর বদলে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বসছেন বলেও খবর ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন- ‘নির্যাতন বৃদ্ধির জন্য দায়ী মহিলাদের জীবনযাপন’, বিতর্কিত মন্তব্য শীর্ষ পুলিশকর্তার]
যদিও কর্ণাটকে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির মতো এই খবর ছড়ানোর পিছনেও বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। কংগ্রেস-জেডিএস জোটের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানোর জন্যই তাঁর নাম ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি চাই এই জোট সরকার মৃসণভাবে চলুক। সংবাদমাধ্যমকে এই ধরনের ভিত্তিহীন খবর খাইয়ে আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরির ষড়ষন্ত্র হচ্ছে।” যে রাজ্যগুলিতে ক্ষমতায় নেই, সেখানে বিজেপি সরকার ফেলার মরিয়া চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা।
শনিবার মোদি শব্দের অর্থ, ‘ভারতে ক্ষতিকর ও অচেনা সংক্রমণ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। রবিবার সকালে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ একটি টুইট করে কর্ণাটক কংগ্রেস। তাতে লেখা ছিল, মহম্মদ বিন তুঘলকের পরে এখন সেই মানের একজনকে পেয়েছি-নরেন্দ্র মোদি।
[আরও পড়ুন- চরম আতঙ্কে কাটছে দিন, প্রাণ বাঁচাতে নাম বদলের ভাবনা মুসলিম আমলার]
কংগ্রেসের তরফে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হলেও তা মানছেন না ইয়েদুরাপ্পা। কর্ণাটকের বিজেপি সভাপতির দাবি, আটজন কংগ্রেস ও তিনজন জেডিএস বিধায়কের ইস্তফার পিছনে তাদের কোনও হাত নেই। এপ্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা সবকিছুই জানেন। দেখুন আগে আরও কী কী হয়। তবে এইচ ডি কুমারস্বামী ও সিদ্দারামাইয়া যা বলেছেন তার কোনও উত্তর দিতে চাই না আমি। এই সম্পর্কিত কোনও বিষয়েই আমি নেই।”
Mallikarjun Kharge, Congress, when asked that there are talks that he could be made the Karnataka CM: I don’t know. I want this alliance govt to continue. We want that this should go on smoothly. These are all flimsy information being fed to the press just to divide us. pic.twitter.com/NSDXRnjoYh
— ANI (@ANI) July 7, 2019