কলহার মুখোপাধ্যায়: তুমুল শিলাবর্ষণ। যার জেরে ককপিটের উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে বিপত্তি বিমানের। বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন ১৭০ জন যাত্রী। যাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও (Arup Biswas)। দুর্ঘটনার জেরে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে টেক অফের ১০ মিনিটের মধ্যে জরুরি অবতরণ হয় এয়ার এশিয়ার (Air Asia) বাগডোগরাগামী বিমানের। দুর্ঘটনা এড়িয়ে মন্ত্রী জানালেন, ‘আজ মনে হয় পুনর্জন্ম হল।’ কিন্তু আতঙ্ক কাটছে না অরূপ বিশ্বাসের।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ১৫০ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার এশিয়ার বিমান কলকাতা থেকে বাগডোগরা যাচ্ছিল। ওই বিমানে ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন সন্ধেয় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমানটি টেক অফ করার ১০ মিনিট পরেই মাঝ আকাশে ভয়ংকর শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এর পরেই শিলাবৃষ্টির জেরে বিমানের সামনের অংশের জানালার কাচে চিড় ধরে যায়। বিপদ বুঝতে পেরে পুনরায় কলকাতার এটিসি সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাইলট। এটিসি (ATC) ওই বিমানকে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করার নির্দেশ দেয়। সেই মতো বিমানটি এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ১৫০ জন যাত্রী সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানায় এয়ার এশিয়া কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি কলকাতায়, ভরা বসন্তে দোসর হল শিলাবর্ষণ]
উল্লেখ্য, হাওয়া অফিস আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল, এই সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যজুড়ে। বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। কিন্তু তার আগেই প্রবল বর্ষণের সাক্ষী থাকল তিলোত্তমা। মঙ্গলবার বিকেল হতে না হতেই আকাশের মুখ ভার। বজ্রগর্ভ মেঘের আনাগোনা শুরু গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের আকাশে। সন্ধ্যা নামার আগেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। কলকাতায় একাধিক জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হয়। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গা থেকেও শিলাবৃষ্টির খবর মেলে। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার মতো লালমাটির দেশেও হয় শিলাবৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের যেখানে শিলাবৃষ্টি হয়নি, সেখানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত চলছে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পূবালী হাওয়ার সংঘাতেই বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।