Advertisement
Advertisement

শুধু সংখ্যালঘু নয়, কতটা ক্ষতিগ্রস্ত অসমের হিন্দু বাঙালিরা?

বাঙালিদের 'ললিপপ' দিচ্ছে মোদি সরকার, তোপ নেতার৷

Aspiration of Hindu-Bengalis in Assam not fulfilled: Dipak Dey

ছবি: প্রতিবেদক

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 1, 2018 11:01 am
  • Updated:August 1, 2018 11:01 am

মণিশংকর চৌধুরি, গুয়াহাটি:  ক্ষমতায় মোদি সরকার এলে ঘুচে যাবে ‘দ্বিতীয় শ্রেণি’র অপবাদ৷ কয়েক বছর আগে এমন আশাতেই বুক বেঁধেছিলেন অসমবাসী৷ কিন্তু কোথায় কী? বাস্তব পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন৷ আপাতত অনিশ্চয়তার কালো মেঘে ঢেকেছে ৪০ লক্ষের জীবন৷ তাই এবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি বেনজির তোপ দাগলেন ‘সারা অসম বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশন’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি দীপক দে৷ 

মোদি সরকার বিশ্বাসভঙ্গ করেছে হিন্দু বাঙালিদের৷ অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কেন্দ্রীয় শাসকের বিরুদ্ধে সরব হলেন দীপকবাবু৷ তাঁর অভিযোগ, শত প্রতিশ্রুতির পরও শুধুমাত্র বঞ্চনাই জুটেছে অসমের হিন্দু বাঙালিদের ভাগ্যে৷ কয়েক পুরুষ ধরে রাজ্যে বসবাস করলেও আজ তাঁদের পরিচয় ‘ডি ভোটার’ তকমা দিয়ে মুছে ফেলার চক্রান্ত চলছে৷

Advertisement

৩০ জুলাই প্রকাশিত হয় জাতীয় নাগরিকপঞ্জির দ্বিতীয় খসড়া৷ এতে বাদ পড়েন প্রায় ৪০ লক্ষ অসমবাসী৷ এক কথায় তাঁদের পরিচয় হয়ে যায় ‘বিদেশি’৷ যা নিয়ে রীতিমতো উত্তাল জাতীয় রাজনীতি৷ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ কেন ধর্মের ভিত্তিতে এই বিভাজন? আধার থাকা সত্ত্বেও কেন নাম বাদ? প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর অভিযোগ, নাগরিকপঞ্জির নামে অসমে ‘বাঙালি খেদাও’  অভিযান চলছে৷ এই প্রসঙ্গেই ‘সারা অসম বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশন’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি দীপক দে সংবাদ প্রতিদিন-কে বলেন, “আজ ৪০ লক্ষ মানুষের নাগরিকত্ব প্রশ্নের মুখে৷ তবে মিডিয়া বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে৷ জাতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে ৪০ লক্ষই সংখ্যালঘু৷ তা আদৌ সত্যি নয়৷ ওই সংখ্যার অন্তত অর্ধেক অ-মুসলিম৷ বেশিরভাগই হিন্দু বাঙালি| রয়েছে নেপালি, কোচ রাজবংশী-সহ একাধিক সম্প্রদায়ের মানুষ৷ এমন মানুষের সংখ্যা অন্তত ২০ লক্ষ৷ ফলে যতটা ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাভাষী মুসলিমরা হচ্ছেন, একইভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে হিন্দু বাঙালিদেরও৷”

Advertisement

[‘ছেলেটাকে কি পুলিশ তুলে নিয়ে যাবে?’, অসমে আতঙ্কে কাঁটা একরত্তির মা-বাবা]

পরোক্ষে মোদি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি বিজেপি সরকার৷ ক্ষমতায় আসার আগে মোদি বলেছিলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেবেন৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬-র মাধ্যমে এই স্বীকৃতি পাবে হিন্দুরা৷ তবে কেন তাঁদের এনআরসি-র আওতায় আনা হচ্ছে? ক্ষমতা লাভের চেষ্টায় বারবার হিন্দু বাঙালিদের ‘ললিপপ’ দেওয়া হয়েছে৷ এবার সেই প্রতিশ্রুতি পালনের সময় হয়েছে৷ এদিন দীপকবাবু দাবি করেন, “ইমিগ্রেশন এক্সপালসন অ্যাক্ট ফর অসম ১৯৫০-এর সংশোধনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার৷ অথচ অসম সরকার হিন্দু শরণার্থীদের ‘মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট’ দুর্বল বা গ্রহণযোগ্য নয় বলে ঘোষণা করেছে৷ এতে স্পষ্ট যে হিন্দু বাঙালিদেরও টার্গেট করা হচ্ছে৷ শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হবে ৩১ ডিসেম্বরের পর৷ দীপকবাবু জানিয়ে রাখলেন, সংকটে পড়া বাঙালিদের আইনি সহায়তার কথাও ভাবা হচ্ছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ