সৌরভ মাজি, বর্ধমান: করোনাকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাঁচতে হবে তা আগেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সুতরাং আগামী কয়েকদিন মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারই আমাদের ভরসা। কিন্তু মাস্ক পরে বাইরে বেরতে অনীহা রয়েছে অনেকেরই। তাঁদের কথা মাথায় রেখে ম্যাচিং মাস্ক আগেই বাজারে এসেছিল। পরনের পোশাকের সঙ্গে মানানসই রঙের মাস্ক অনেকেই ব্যবহারও করছেন। এবার আরও অভিনবত্ব এনে বাজার ধরছেন মাস্ক প্রস্তুতকারকরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের ছাপ দেওয়া মাস্ক যেমন তৈরি করছেন তেমনই কচিকাঁচাদের পছন্দের কার্টুন চরিত্রও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মাস্কে। তার ফলে বিক্রিও বাড়ছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়।
লকডাউনে কার্যত প্রিন্টিং বা ছাপার কাজ বন্ধ। রাজনৈতিক কর্মসূচিও বন্ধ থাকায় ফ্লেক্স-ব্যানার-ফেস্টুনের চাহিদাও নেই বাজারে। অন্যান্য ছাপার কাজও বন্ধ রাখতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মাস্কের উপর বিভিন্ন ছবি প্রিন্টিং করে বাজারজাত করে লাভবান হচ্ছেন অনেকে। কালনা শহরের স্টেশন রোডের গৌর সাহা, অমিতকুমার সেন এখন মোদি-মমতার ছবি, কার্টুন চরিত্রের ছবি মাস্কের উপর ছাপিয়ে বাজারজাত করছেন।
[আরও পড়ুন: বিপদের বাড়বাড়ন্ত, ক্যানসারের চিকিৎসায় মুম্বই গিয়ে করোনা আক্রান্ত মা-ছেলে]
তাঁরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এই সময় মাস্ক বিতরণ করছে। তারা অনেক সময় পছন্দের নেতা-নেত্রীর ছবি দেওয়া মাস্ক চাইছেন। তবে মমতার ছবি দেওয়া মাস্কের চাহিদা কিছুটা বেশি। গৌরবাবু জানান, কচিকাঁচারা অনেক সময় মাস্ক পরতে চায় না। তাই তাদের মাস্কে কার্টুন চরিত্রর ছবি ছাপিয়ে আকর্ষণীয় করা হচ্ছে। কচিকাঁচাদের তা পছন্দ হওয়ায় পরে নিচ্ছে মাস্ক। সুরক্ষিত থাকছে তারা।
রাখির সময় মোদি কিংবা মমতার মুখ দেওয়া রাখির চাহিদা দেখা যায়। কিংবা নির্বাচনী আবহে অনেক সময়ই রাজনৈতিক দলগুলির প্রতীকের আকারে সন্দেশও তৈরি করে মিষ্টান্ন বিক্রেতা। কিন্তু মাস্কেও যে এমন রাজনীতির ছোঁয়া লাগতে পারে তা বোধহয় ভাবেননি কেউই। অভিনব এই মাস্ক মন টানছে অনেকেরই।
ছবি: মোহন সাহা