সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধুমেহ বা ডায়াবিটিস মানেই মিষ্টি থেকে শতবস্ত দূরে। শরীরের ওজন বাড়লেও তাই। মিষ্টি খাওয়ার উপর জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু কিছু মিষ্টি আছে যা ডায়বেটিসের উপর কোনও প্রভাব ফেলে না। ডায়াবিটিস বা ওজন বৃদ্ধির তোয়াক্কা না করেই খেতে পারেন এই সব মিষ্টি।
মিষ্টি খেতে কে না ভালবাসে। আর বাঙালি মাত্রই মিষ্টির পোকা। তাই ডায়াবিটিস বা মধুমেশ শরীরে দানা বাঁধলেই মুষড়ে পড়ে বাঙালি। কারণ একটাই মিষ্টি তখন নৈব নৈব চ। কিন্তু মন মানবে কেন? মিষ্টি দেখলেও তাই বাসনা উথলে ওঠে। কিন্তু জানেন কি? এমন কিছু মিষ্টি আছে যেগুলি ডায়াবিটিস হলেও খাওয়া যায়? তবে সেগুলি অবশ্যই হতে হবে ঘরে বানানো। কীভাবে বানাবেন?
[ আরও পড়ুন: একঘেয়ে কফির স্বাদ বদলাতে চান? রইল সহজ কয়েকটি রেসিপি ]
ঘিয়ে যেহেতু চর্বি থাকে, তা ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর জন্য প্রয়োজনীয়। শরীরে এই ভিটামিনগুলির তখনই আসে যখন ঘি, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল ইত্যাদি শরীরে উপস্থিত থাকে। তবে মিষ্টি তৈরির সময় অতি অবশ্যই চিনি ও দুধ এড়িয়ে চলুন। কারণ দুধ খেয়ে মধুমেহ রোগীদের রক্তে ইনসুলিনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে থাকে না। বরং পরিবর্তে প্রাকৃতিক মধু, নারকেলের মাখন, গুড়, নারকেলের চিনি ইত্যাদি দিয়ে মিষ্টি বানাতে পারেন। তবে গরুর দুধ না হলেও অ্যামণ্ড, সয়াদুধ বা নারকেলের দুধ অথবা বাদাম দুধ দিয়েও মিষ্টি বানানো যায়। তাহলে একসঙ্গে ডাবল কাজ হয়। মিষ্টিও খাওয়া হল আবার রোগও বাড়ল না।
তবে সুস্থ থাকতে হলে অতি অবশ্যই নিয়মিত পরীক্ষানিরীক্ষা করান। নাহলে রোগ যে কখন শরীরের মধ্যে ডানা মেলবে তা বুঝতেও পারবেন না।