সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। তার অন্যতম দৃষ্টান্ত আমেরিকা ও ইউরোপ। তাই আগে থেকেই ভারতের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। খাদ্যাভাস থেকে ঝেড়ে ফেলা হোক ‘আলট্রা প্রোসেসড ফুড’। এমনটাই পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক অসীম মালহোত্রা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক ও অধ্যাপক। প্রাণঘাতী করোনা থেকে থেকে বাঁচতে খাদ্যাভ্যাসের উপর নজরদানের পরামর্শ দিলেন তিনি।
তাঁর মতে, অতিরিক্ত ওজন ও ওবেসিটি শরীরের রোগ প্রতিরোধক মাত্রা কমিয়ে করোনা বৃদ্ধির প্রবণতাকে তরান্বিত করছে। অস্বাস্থ্যকর জীবনশৈলীর ভিত্তিতে তৈরি রোগভোগের সংখ্যা এমনিতেই ভারতে কম নয়। এই জীবনশৈলী ডেকে আনছে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদয়ঘটিত রোগ। এই তিন রোগই, যার পিছনে অন্যতম কারণ অতিরিক্ত মেদ ও ওজন, মৃত্যুর হার বাড়ার পিছনে অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি। আমেরিকা ও যুক্তরাষ্ট্রে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন, দেখা গিয়েছে তাঁদের ৬০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কই অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও জীবনশৈলীর দরুন উল্লিখিত রোগগুলির শিকার ছিলেন।
[ আরও পড়ুন: করোনাকে দূরে রাখতে এভাবেই বানান আয়ুর্বেদিক ক্বাথ, শেখালেন খোদ চিকিৎসক ]
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকা ‘নেচার’-এ প্রকাশিত এক রিপোর্ট জানা যাচ্ছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও মেটাবলিক সিনড্রমে আক্রান্তদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা সুস্থ মানুষের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। ডা. মালহোত্রা জানাচ্ছেন, এই রোগগুলির জন্য ব্যবহৃত ওষুধের রোগ প্রতিরোধক বা মৃত্যুহার কমানোর ক্ষমতা যৎসামান্যই। অর্থাৎ, এগুলো কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনপদ্ধতিই রোগের আসল দাওয়াই। তাই ভারতীয়দের আলট্রা প্রোসেসড প্যাকেটেড খাদ্য পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারণ এতে অধিক পরিমাণে শর্করা, স্টার্চ, অস্বাস্থ্যকর তেল থাকে। থাকে অ্যাডিটিভিস ও প্রিজার্ভেটিভস। যা অবশ্য বর্জনীয়। পরিবর্তে যথেষ্ট শাকসবজ, ফলমূল, ডিম, মাছ, মাংস, এমনকী প্রয়োজনে রেড মিটও খাওয়ার নিদান দিয়েছেন তিনি।