সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গা ভর্তি লাল লাল ব়্যাশ। দিনরাত খুদে চুলকোচ্ছে। মাঝেমধ্যে কেটে রক্ত বেরিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই ভাবেন প্রচণ্ড গরমে হয়তো এমন দশা। তাই ঘরোয়া টোটকায় হাজার রকমের পাউডারের ব্যবহার। সঙ্গে বারবার স্নান করিয়েও লাভ হচ্ছে না কিছুই। এমন পরিস্থিতিতে শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে না গিয়ে ফেলে রাখবেন না। কারণ, এই চুলকানি মামুলি গরমের জন্য নয়। চিকিৎসা পরিভাষায় ত্বকের এই রোগের নাম ‘স্ক্যাবিস'(Scabies)।
কীভাবে ‘স্ক্যাবিস’ হয়?
চিকিৎসকদের দাবি, ‘স্ক্যাবিস’ হয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পোকার কামড় থেকে। ওই পোকাটিকে খালি চোখে দেখা কার্যত অসম্ভব। কিন্তু একবার মানবদেহের সংস্পর্শে আসলে ওই ছোট্ট পোকাটি কামড় দেয়। তার ফলে ত্বকে সে ডিম পাড়ে। আর তার জেরে লাল রঙের ব়্যাশ বেরয়। বহুক্ষেত্রে জলভরা ব়্যাশও দেখা যায়। চুলকানি শুরু হয়। প্রচণ্ড চুলকানির ফলে কেটে রক্ত বেরতেও দেখা যায়।
কোথায় কোথায় ‘স্ক্যাবিস’ হয়?
* মাথা
* মুখ
* দু’টি আঙুলের মাঝে
* হাতের তালু
* কনুইয়ের ভাঁজ
* পায়ের পাতা
* বুক
* স্তনবৃন্ত
* পেট
* যৌনাঙ্গ
* নিতম্ব
চিকিৎসা পদ্ধতি:
‘স্ক্যাবিস’ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক Permethrin 5% জাতীয় ক্রিম দেন। ওই ক্রিম ব্য়বহারেরও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। চিকিৎসা করালেও ‘স্ক্যাবিস’ পুরোপুরি নিরাময়ে মাসখানেক সময় লেগেই যায়।
‘স্ক্যাবিস’ সম্পর্কে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
* ‘স্ক্যাবিস’ খুব সাধারণ ত্বকের রোগ।
* শুধু খুদেরাই নয়, পরিবারের যেকোনও সদস্য আক্রান্ত হতে পারেন।
* সাধারণত রাতের দিকে সবচেয়ে বেশি চুলকানি হয়।
* সময়মতো চিকিৎসা না হলে ‘স্ক্যাবিস’ ভয়ানক রূপ নিতে পারে।
* জটিল ত্বকের অসুখের রূপ নিতে পারে ‘স্ক্যাবিস’।
* ‘স্ক্যাবিস’ আক্রান্তকে গরম জলে স্নান করানোই শ্রেয়।
* এই রোগে আক্রান্তের পোশাক-সহ ব্যবহার করা সমস্ত জিনিসপত্র গরম জল এবং সাবান দিয়ে কেচে নিতে হবে।
* ‘স্ক্যাবিস’ আক্রান্তের সংস্পর্শে আসলে তা ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই একজন আক্রান্ত হলে, সবসময় খেয়াল রাখতে হবে রোগ ছড়াচ্ছে কিনা। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.