BREAKING NEWS

২৫ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  শুক্রবার ৯ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুখবর, দীর্ঘ সফরকালে সঙ্গে রাখুন ‘পোর্টেবল ইনসুলিন কুলার’

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: March 6, 2020 1:35 pm|    Updated: March 6, 2020 1:36 pm

Portable insulin cooler will soon launch in the market for diabetis patients

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলার পরও এই রোগ ঠেকানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় ইনসুলিন কিংবা একগাদা ওষুধ নিত্যসঙ্গী ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের। কিন্তু এবার দীর্ঘ গবেষণায় উঠে এল সুখবর। বাজারে আসতে চলেছে ‘পোর্টেবল ইনসুলিন কুলার।’ আসানসোলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দুই অধ্যাপক ও এক পড়ুয়া প্লাস্টিকের কন্টেনারে তৈরি করে ফেলেছেন ইনসুলিন কুলার। ইনসুলিন বহনের জন্য যা দীর্ঘ সফরে ব্যবহার করা সহজ হবে।

সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনরা ঘোর সংকটে পড়েন যখন ট্রেন, বাস, বিমান কিম্বা গাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সফর করতে হয়। সফরকালে ইনসুলিনের প্রয়োজন পড়তেই পারে। কিন্তু কোথায় ইনসুলিন রাখবেন, তা ভেবেই মাথায় হাত পড়ে তাঁদের। রাস্তাঘাটে সর্বত্র ওষুধের দোকান এবং ইনসুলিন পাওয়াও সম্ভব নয়। তাই তাঁদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে ‘পোর্টেবল ইনসুলিন কুলার’। নেপথ্যে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তিন গবেষকের মস্তিষ্কপ্রসূত কাজ।

[আরও পড়ুন: করোনা থেকে বাঁচতে এই খাবারগুলি পাতে রাখতে ভুলবেন না, রইল টিপস]

কুলারটি দেখতে ছোট্ট  টিফিন বক্সের মতো। মাইক্রো কন্ট্রোলার সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এই যন্ত্রটি। ৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে যন্ত্রটি। সঙ্গে রয়েছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এক ঘণ্টা চার্জ করলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা মেশিনটি সক্রিয় থাকবে৷ অর্থাৎ ইনসুলিন-সহ অন্যান্য ওষুধ নিয়ে ১২ ঘণ্টা নিশ্চিন্তে সফর করতে পারবেন রোগীরা। ইনসুলিন কুলারটির ওজন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মতো। আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক বিকাশ মণ্ডল বলেন, “আমাদের কলেজের অ্যাপ্লায়েড ইলেকট্রনিকস এবং ইনস্ট্রুমেনটেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ইন্দ্রজ্যোতি রানোর কনসেপ্ট ছিল এই প্রোজেক্টটি। আমাদের সহযোগিতায় সে একাই এই প্রোজেক্টটি সফল করে।”

insulin-cooler1

জানা গিয়েছে, গত বছরের প্রথম দিকে কলকাতার ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার, ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের ভাবনার প্রোজেক্টটি প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়। অবশেষে সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরই সঙ্গে সঙ্গেই ভাবনার বাস্তবরূপ দিতে দিনরাত এক করে কাজে লেগে পড়েন গবেষণারত পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে ‘কুলিং পোর্টেবল ফ্রিজ’-এর কার্যকারিতা এবং উপকারিতা হাতেকলমে বুঝিয়ে চিকিৎসকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন ছাত্র-অধ্যাপকরা।

[আরও পড়ুন: চামচেই বিপদ! স্বাদ বুঝতে খাবার খান হাত দিয়েই, মত বিশেষজ্ঞদের]

শিক্ষক বিকাশ মণ্ডলের কথায়, “যন্ত্রটির দাম সাধ্যের মধ্যেই থাকবে৷ সম্ভবত দাম হতে পারে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকার মতো। ডিভাইসটির মধ্যে এমন এক পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে যখনই কুলারের ঢাকনা খোলা হবে তখনই এসএমএস চলে যাবে আগে থেকে সংযুক্ত নির্দিষ্ট মোবাইলের নম্বরে৷ যার মাধ্যমে রোগী ইনসুলিন নিয়েছেন কি না পরিবারের লোকের কাছে সেই বার্তাও পৌঁছে যাবে৷ পাশাপাশি অ্যালার্ম দেওয়ার ব্যবস্থাও পাওয়া যাবে৷ যে অ্যালার্ম রোগীকে বলে দেবে, ইনসুলিন নেওয়ার সময় হয়েছে এবার।” আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য বলেন, “এই যন্ত্রটি সম্পূর্ণভাবে ইকোফ্রেন্ডলি। সেক্ষেত্রে যুগান্তকারী যন্ত্র হয়ে ওঠার গুণ রয়েছে ইনোভেটিভ পোর্টেবল ইনসুলিন কুলারের৷ ফলে পেটেন্ট-সহ ব্যবসায়িক দিকটি নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছি আমরা।” 

ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে