সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : কুখ্যাত অপরাধী, খুনিদের মস্তিষ্কের গঠন অন্যদের চেয়ে ছোট হয়। শৈশবে ব্রেন স্ক্যান করলেই মস্তিষ্কের গঠন ও কিছু অংশের রঙের পার্থক্য দেখে বোঝা যায় সেই শিশু ভবিষ্যতে অপরাধী হবে না কি সাধারণ ভাল মানুষ হবে। এমনই দাবি করছেন লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের বিজ্ঞানীরা। ৪৫ বছর বয়সি প্রায় সাত হাজার মানুষের ব্রেনের গঠন পরীক্ষা করে দেখে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তাঁরা।
গবেষকদের মতে, ব্রেনের গঠন ছোট হলে সমাজবিরোধী আচরণ, খুন, চুরি, হিংসা, মারধরের মতো ঘটনায় যুক্ত হন অনেকে। এঁদের অনেকেরই শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে অপরাধী হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের মধ্যে ছোট থেকেই হিংসামূলক আচরণ করার রেকর্ড ছিল। রেকর্ড ঘেঁটে এমনই কিছু অপরাধীর স্কুলশিক্ষকরা জানিয়েছেন, এঁরা নার্সারি ক্লাস থেকেই মারপিট, শারীরিক নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কৈশোরকালে যাঁরা অবাধ্য বা বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে তাঁরা ভবিষ্যতে অপরাধী হওয়ার সম্ভবনা কম। গবেষকদের দাবি, ব্রেনের কর্টিজল সারফেস এরিয়া ও কর্টিজল কতটা চওড়া তা এমআরআই স্ক্যান দেখে বুঝতে পারা যায়। সমীক্ষা করা ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের ব্রেনের কর্টিজল সারফেস এরিয়া ও কর্টিজল চওড়া কম তাঁদের অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। তাঁদের ব্যবহারও অন্যদের চেয়ে উগ্র। এঁদের মস্তিষ্কের কর্টেক্সও অনেক পাতলা হয়। যা মানুষের আবেগ, মোটিভিশনকে কন্ট্রোল করে। এক গঠনগত পরিবর্তন আচরণগত পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। লন্ডনের এই গবেষকদের মতে, ছোটবেলা থেকেই এমআরআই স্ক্যান করে নিয়ে আগাম বোঝা যায় সেই শিশু ভবিষ্যতে কুখ্যাত গুণ্ডা বা দুষ্কৃতী হয়ে উঠতে পারে কি না। সেই অনুযায়ী ওই শিশুকে সঠিক শিক্ষা দিয়ে অপরাধপ্রবণতা কমাতে হবে। ব্রেনের আকার ছোট দেখে এভাবে আগাম সতর্ক হয়ে সমাজে অপরাধীর সংখ্যা কমানো সম্ভব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.