Advertisement
Advertisement

Breaking News

Winter

শীতের হাত ধরে একঝাঁক অসুখ, বিপদ বাড়াচ্ছে ভেজাল সরষের তেলও, কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের?

ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে মাস্ক পরে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।

This is how you can protect yourself from many disease in Winter | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 28, 2022 7:59 pm
  • Updated:November 28, 2022 7:59 pm

অভিরূপ দাস: রোম খাড়া করা ঠান্ডা। শীত তাড়াতে সরষের তেল মেখে আরও বিপত্তি। সারা গায়ে লাল লাল র‌্যাশ। চিকিৎসকদের চেম্বার উপচে পড়ছে এমন রোগীতে।

চিকিৎসকরা বলছেন বাজার চলতি সরষের তেল নিখাদ নয়। তাতে ভেজাল রয়েছে। বাজার চলতি সরষের তেলের অ‌্যালিল আইসোথায়াসাইনাইট ত্বকের সংস্পর্শে এলেই শুরু চিড়বিড়ানির। চিকিৎসা পরিভাষায় যা অ‌্যালার্জিক কনট‌্যাক্ট ডার্মাটাইটিস। এ নিয়ে ডেনমার্কের জেনটফ হাসপাতালে দীর্ঘ সমীক্ষা হয়েছে ২৫৯ জন রোগীর উপর। দেখা যায় বাজার চলতি সরষের তেলে যাঁদের র‌্যাশ বেরোয় মার্জারিন, মেয়োনিজে-ও তাদের একই হাল। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নীশান্তদেব ঘটক জানিয়েছেন, ঘানির সরষের তেল তুলনামূলক নিরাপদ। বাজার চলতি সরষের তেল থেকে অ‌্যালার্জি হওয়ার ঘটনা অগুনতি।

Advertisement

এদিকে সন্ধে‌ নামলেই ঝুপ করে নামছে তাপমাত্রা। দুপুরে আবার হালকা গরম। এমন তাপমাত্রার ওঠা নামায় ভাইরাসদের পোয়াবারো। ভাইরাল অসুখ থেকে সাবধান থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। ডা. নীশান্তদেব ঘটকের কথায়, আচমকা ফ‌্যান চালিয়ে দেবেন না। শীতে আরএসভি বা রেসপিরেটরি সিংসিটিয়াল ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত। ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম থেকে একশো হাত দূরে থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া কমাতে হবে, নতুন গাইডলাইনে চিকিৎসকদের পরামর্শ ICMR-এর]

শীতের (Winter) অন‌্যান‌্য সমস‌্যার মধ্যে প্রধান কোষ্ঠকাঠিন‌্য। ঘাম হয় না। জল সবসময় কনকনে ঠান্ডা। গ্লাসের দিকে হাত বাড়াতে চায় না কেউই। এ সমস‌্যা খুদেদের মধ্যে মারাত্মক। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, প্রতিদিন ন্যূন‌তম তিন লিটার জল খেতে হবে। শীতকালেও। গরমকালের মতো একইরকম দৌড়ঝাঁপ হচ্ছে। কিন্তু ঘাম হচ্ছে না বলে জল খাচ্ছেন না। ডা. নীশান্তদেব ঘটকের বক্তব‌্য, জল কিন্তু বেরিয়ে যাচ্ছে শরীর থেকে। চিকিৎসা পরিভাষায় এটা ইনসেনসিবেল ফ্লুইড লস। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৮০০ এমএল জল বেরিয়ে যায় এভাবে। জল কম খেলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

শীতকাল পিকনিক, বিয়েবাড়ির মরশুমও। উৎসবের এ সময় পেট খারাপের প্রবণতা বাড়ে। প্রচুর বাচ্চার ফুড পয়জনিং হয়। ইতিমধ্যেই চেম্বারে বাড়ছে পেটখারাপে ভোগা শিশু। চিকিৎসকরা বলছেন, ওআরএস-ই ডিহাইড্রেশনের প্রাথমিক অসুখ। শীতে বাড়ে খুসকির সমস‌্যাও। ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অভিষেক দের কথায়, ঝুরঝুর করে খুশকি পড়ছে। তা ঠেকাতে নিজে থেকেই অনেকে তেল মাখতে শুরু করেন। ভাবেন শুকনো বাতাসে খুশকি বেড়েছে। এর ফলে খুশকির সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ত্বকের নিচে সিবেসাস গ্ল্যান্ড নামে এক ধরনের গ্রন্থি থাকে। এর থেকে সেবাম নামে এক তৈলাক্ত পদার্থ বেরিয়ে আমাদের চুল ও ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। শীতের সময়ে শুষ্ক আবহাওয়ায় কারও কারও সিবাম নিঃসরণ বেড়ে গিয়ে খুশকির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এর উপর তেল মাখলে সমস্যা বেড়ে যায় আরও। খুশকি ঠেকাতে নিয়মিত শ‌্যাম্পু করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

[আরও পড়ুন: অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ কোটি ইউজারের WhatsApp নম্বর, ফাঁস ব্যক্তিগত তথ্যও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ