সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে সুরক্ষাবিধি মেনে একাধিক সালোঁ-পার্লার খুলে গিয়েছে। কিন্তু তাতে যাওয়া কতটা নিরাপদ? এই প্রশ্নের খাতিরেই বাড়িতে রূপচর্চার পথই অনেকে বেছে নিচ্ছেন। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত যত্ন নিতে হচ্ছে। আর তা মোটেও সহজ কম্মটি নয়। বিশেষ করে যখন অবাঞ্ছিত লোম থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া প্রসঙ্গ আসে। সালোঁ কিংবা পার্লারে যে কাজটি খুব সহজে অন্যের দ্বারা সম্পন্ন হয়, তা বাড়িতে করা বেশ কঠিন।
[আরও পড়ুন:বাড়ির খুদে সদস্যর থেকেই সবচেয়ে বেশি ছড়াতে পারে করোনা, দাবি গবেষণায়]
বাড়িতে দু’টি উপায়ে হাতে-পায়ের অবাঞ্ছিত লোম থেকে নিস্তার পাওয়া যেতে পারে। এক, রেজার ব্যবহার করা আর দুই, হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করা। রেজার ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি হাত-পায়ের লোম ফিরে আসে। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করার তাগিদ লক্ষ্য করা যায়। আপনিও কি এই পথের পথিক? তাহলে নিজের অজান্তেই নিজের ত্বকের ক্ষতি করছেন। কীভাবে?
- হেয়ার রিমুভাল ক্রিমে এক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। যাতে হাত ও পায়ের অবাঞ্ছিত লোমগুলি খুব সহজেই গোড়া থেকে বেরিয়ে আসে। একথা হয়তো অনেকেরই জানা। যেটা না জানা থাকতে পারে তা হল এই রাসায়নিকে ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড (calcium hydroxide) এবং পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড থাকে যা ভীষণভাবে ত্বকের ক্ষতি করে। বিশেষ করে স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে। হেয়ার রিমুভাল ক্রিম বেশিদিন ব্যবহার করলে ত্বকের রং কালো হয়ে যেতে পারে। র্যাশও হতে পারে।
- সাধারণত বেশিরভাগ হেয়ার রিমুভাল ক্রিমে পিএইচ লেভেল বেশি থাকে। যা মানবদেহের ত্বকের ক্ষেত্রে খুবই ক্ষতিকর। এতে ত্বক ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে কোনও হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া প্রয়োজন।
- তৃতীয় কারণটি সবচেয়ে সাংঘাতিক। বেশিরভাগ হেয়ার রিমুভাল ক্রিমে যে রাসায়নিক থাকে। তাতে যেমন গোড়া থেকে হাত ও পায়ের অবাঞ্ছিত লোম তুলে আনার ক্ষমতা থাকে, তেমনই ত্বক পুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। সময়ের হিসেব না রাখতে পারলে ফার্স্ট ডিগ্রি বার্ন তো বটেই সেকেন্ড ডিগ্রি বার্ন পর্যন্ত হতে পারে।
তাই, চোখ-কান খোলা রেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। আর নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন।