সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রসনাতৃপ্তিতে মনের আনন্দ। আর তাতেই সংসারের সুখ। এই সুখের ঠিকানা রান্নাঘর। সেখানেই শুভ, সেখানেই লাভ। যে স্থানের এত মাহাত্ম্য, সে স্থান যত্নে রাখা প্রয়োজন। এমন কিছু করবেন না যাতে সংসারের শান্তি বিঘ্নিত হয়। এমনটাই বলছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা।
বাঙালি বাড়িতে অন্ন দেবতার সমান। ভাঁড়ার যাতে পূর্ণ থাকে, সেই চেষ্টাই সবসময় করা হয়। বিশেষ করে চাল। ধান বা চালকে লক্ষ্মীর সমান মনে করা হয়। তাই ভুলেও চালের পাত্র খালি রাখবেন না। তা কিছুটা হলেও ভরতি থাকে। এক বিষ আটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এখন বাঙালির রুটি খাওয়ার চল বেড়েছে। তাই আটা মজুত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।
দুধ বা দইকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। তা পুজোর কাজেও ব্যবহার করা হয়। এমনকী, নতুন বউ বাড়িতে এলে তাঁকে উথলানো দুধের পাত্র দেখানো হয়। মনে করা হয়, এসে সংসারের শ্রীবৃদ্ধি হয়। বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সূর্য ডোবার পর দুধ বা দুগ্ধজাত কোনও দ্রব্য কাউকে দেবেন না। এতে সংসারের অমঙ্গল হতে পারে।
খাবার কখনও বিজোড় সংখ্যায় রাখবেন না। বিশেষ করে রুটি তৈরি করার ক্ষেত্রে। তিনটি না করে চারটি করবেন। পাতেও জোড় সংখ্যায় রুটি পরিবেশন করবেন। আর শেষ যে রুটি তৈরি করবেন তা যেন কোনওভাবেই ছোট না হয়। আর রুটি তৈরি করার পর বেলন আর চাকি সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে রাখবেন। পরে ধোয়ার জন্য রেখে দেবেন না। এমনটাই বলছেন বাস্তুশাস্ত্রের বোদ্ধারা। যুক্তি-তর্কের এই যুগে মানা বা না মানা আপনার সিদ্ধান্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.