সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনার কাজকে খুব ভালবাসেন। অথচ যত দিন যাচ্ছে ততই অবনতি ঘটছে কাজের পরিবেশের। বিশেষ করে বসের কথাবার্তা-আচরণ কোনওটাই পছন্দ হচ্ছে না। প্রতিদিনই সকালে ঘুম থেকে উঠে যখনই ভাবেন, ফের কর্মক্ষেত্রে গিয়ে ওই মানুষটির মুখ দেখতে হবে, তখন কাজে যাওয়ার ইচ্ছাটাই চলে যায়। কিন্তু প্রতিযোগিতার বাজারে মেজাজ হারিয়ে হুট করে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়াও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাইতো? কথাগুলো কি মিলে যাচ্ছে? তাহলে প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই। জেনে রাখুন কর্মক্ষেত্রে বসকে সামলে কীভাবে কাজে মন দেবেন।
১. সিনিয়র বা বসের সমালোচনা করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি নিজের সেরাটা দিচ্ছেন? কর্মস্থানে আপনি কি অপরিহার্য? জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের মূল্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের দুর্বল জায়গাগুলি খুঁজে বের করতে পারলে কাজে আরও উন্নতি করা সম্ভব। যদি শুধুমাত্র আপনার সঙ্গেই সিনিয়রের সমস্যা হচ্ছে, তাহলে সহকর্মীদের থেকে পরামর্শ নিতেই পারেন। হয়তো নিজের ত্রুটিগুলি নিজেই খুঁজে পাবেন।
[সারাক্ষণ মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ! কী মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে জানেন তো?]
২. সমস্যাই বেড়ে চলেছে, যার কোনও সমাধান নেই। এই ধারণা প্রথমে মন থেকে দূর করে দিন। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে সিনিয়রের সঙ্গে বসে আলোচনা করুন। কথোপকথনে নানা সমস্যা মেটে অনায়াসে। তবে কথা বলার সময় মাথা ঠান্ডা রাখুন। দরকার হলে অন্য সিনিয়রদেরও উপস্থিত থাকতে বলুন। আপনার কথাবার্তাই কিন্তু আপনার ভাবমূর্তি। তাই কর্মক্ষেত্রে তা নষ্ট হতে দেবেন না।
৩. যদি বুঝতে পারেন আপনার সিনিয়র বা ম্যানেজার শুধুমাত্র আপনার সঙ্গে ইচ্ছাকৃত খারাপ আচরণ করছেন, তাহলে বিষয়টি একটু স্মার্টলি সামলান। সিনিয়রের কাছ থেকে অফিসিয়াল কাজগুলি ই-মেল মারফত নিন। যা যা কাজ আপনাকে দেওয়া হচ্ছে এবং আপনি করছেন তা এক জায়গায় নথিভুক্ত রাখুন। নিজের কাজের বিস্তারিত তথ্য ম্যানেজারকে ই-মেল করুন। অতিরিক্ত কাজের চাপ অনুভব করলে সেটাও ই-মেলের মাধ্যমেই তাঁকে জানান। তাহলে কাজের ক্ষেত্রে সমস্ত তথ্য প্রমাণ যেমন আপনার কাছে থাকবে। তেমনই বসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তাও কম হবে।
[এই তিন মন্ত্রে আপনার সোলো ট্রিপ হয়ে উঠবে আরও মনোরম]
৪. একান্তই যদি কাজের পরিবেশে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়, তাহলে ভিতর ভিতর নতুন চাকরি খুঁজতে শুরু করে দিন। নতুন পরিবেশে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতেই পারেন। যদি সম্ভব হয় ওই কর্মস্থানেই অন্য কোনও পদের জন্যও আবেদন করতে পারেন। এতে অন্য গ্রুপের সঙ্গে কাজের সুযোগ পাবেন।
৫. মনে রাখবেন চাকরি জীবনে প্রত্যেকেরই কিছু সুবিধা-অসুবিধা থাকে। অন্যের অধীনে থেকে অর্থ উপার্জন করার কাজটা একেবারেই সহজ নয়। তাই ছোটখাটো বিষয়গুলিকে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। কোন কথার কীভাবে উত্তর দিলে সাপও মরবে আর লাঠিও ভাঙবে না, তা নিজেই ঠিক করুন। মনে রাখবেন চাকরিটা কিন্তু আপনার রুজি-রুটি। তাই পেটে লাথি মেরে বসকে হারানোয় কোনও কৃতিত্ব নেই।