সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফ্লিপকার্টের পরেই দেশের বৃহত্তম ই-কমার্স সাইট হল পেটিএম। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত এক বছরে তাদের ব্যবসা ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার স্পর্শ করেছে। আর এই ব্যবসা বেড়ে যাওয়ার প্রাথমিক কারণ হিসেবে ‘পেটিএম’ তাঁদের কর্মচারীদের অবদানকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।
[জানেন, ডায়েট চার্টের কোন খাবারগুলি গর্ভধারণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়?]
সংস্থার কর্তারা মনে করছেন, গত একবছরে কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। লেনদেনের অভিনব পদ্ধতিই মানুষকে ‘পেটিএম’-এর কাছে আসতে বাধ্য করেছে। আর সেই কারণেই, গত এক বছরে অন্যান্য পেমেন্ট অ্যাপগুলির তুলনায় ‘পেটিএম’এর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। সংস্থার এই গর্বের মুহূর্তে তাই কর্মচরীদের পরিশ্রমকেও বিশেষভাবে সম্মানিত করা হবে। সংস্থা সূত্রে খবর, পেটিএম-এর পুরনো কর্মীদের বেতনের পাশাপাশি কিছুটা বোনাসও দেওয়া হবে। টাকার অঙ্কে সংখ্যাটা কম নয় কিন্তু। একটি ওয়েবসাইটের দাবি, বোনাস ও বেতন মিলিয়ে সংস্থার ২০০ জন কর্মী এবছর লাখপতি হতে পারেন।
‘পেটিএম’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘গতবছরের মে মাসের রিপোর্ট মোতাবেক সংস্থা প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছিল। কিন্ত এবছর সেটা বেড়ে ১০ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছেছে, এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমরা ভাবতেই পারিনি এভাবে এক বছরের মাথায় দেশের জনপ্রিয়তম ই-কমার্স সাইট ‘ফ্লিপকার্ট’-এর কাছাকাছি পৌঁছে যাব।’ রিপোর্ট বলছে, এবছরের ব্যবসার নিরিখে দেশে বৃহত্তম অনলাইন সংস্থা হল ‘ফ্লিপকার্ট‘, যারা এখনও পর্যন্ত ১২ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে।’
[পান পাতায় রয়েছে আপনার ভাল থাকার চাবিকাঠি]
অনলাইন মার্কেটিং বিশেজ্ঞরা বলছেন, ‘ফ্লিপকার্ট’ বহুদিনের পুরনো সংস্থা, মানুষের ওই ব্র্যান্ড নেমের উপর আস্থা রয়েছে। কিন্ত ‘পেটিএম’ এত দ্রুত, এত ভাল ব্যবসা করতে পারবে, এটা অবিশ্বাস্য। সম্ভবত সেই কারণেই ‘পেটিএম’এর কর্ণধার বিজয় শেখর শর্মা বলেছেন, ‘আমাদের এই সাফল্যের পিছনে যে কর্মচারীদের হাত রয়েছে, যাঁরা প্রতিদিন পরিশ্রম করে ‘পেটিএম মল, ‘পেটিএম ব্যাঙ্ক’ বা ‘পেটিএম মানি’র মতো পরিষেবাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে না দিলে আজকে আমরা এই জায়গা পেতাম না। তাই আমিও আমাদের এইসব পুরনো কর্মচারী, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য আমাদের লাভের কিছু অংশ দিয়ে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করব।’
[কলকাতায় চলছেই না Jio-র 4G নেটওয়ার্ক, নাজেহাল গ্রাহকরা]