Advertisement
Advertisement

লকডাউনের গেরোয় লাগাম যৌনজীবনেও, প্রতিবেশীর সঙ্গে সঙ্গমে জড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা

উভয়ের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে পারে পুলিশ।

Being intimate with outsider is illegal from June in England
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 1, 2020 8:02 pm
  • Updated:June 1, 2020 8:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য সবই কেড়ে নিয়েছে করোনা। দেখা হলে প্রিয়জনকে যে একটু কাছে টানবে মানুষ, তাতেও কাজ করে একরাশ ভয়। সবারই একবারের জন্য মনে হয়, ‘যদি আমার মধ্যে করোনা থাকে? যদি ওর মধ্যেও সংক্রমিত হয়?’ এমন আশঙ্কা অমূলক ন। কাজের খাতিরে হয়তো দুজনে অন্য শহরে থাকেন। অথবা প্রেমিক প্রেমিকার কথাই ধরা যাক। দম্পতির মতো তারা তো আর একসঙ্গে থাকে না। কিন্তু শারীরিক চাহিদা তো তাদেরও থাক। কিন্তু এই করোনা আবহে সেসব হওয়ার জো নেই। রীতিমতো আইন করে তা রুখে দিয়েছে ইংল্যান্ড।

সেখানে নতুন আইন জারি করে বলা হয়েছে, বাড়ির বাইরের কারও সঙ্গে কোনও ব্যক্তি এই পরিস্থিতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না। সোমবার সকালে সরকারের তরফে এই নতুন নিয়মগুলি প্রবর্তিত হয়। যেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, লকডাউনের মধ্যে বাড়ির বাইরের কারওর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া বেআইনি। নতুন নিয়ম অনুসারে, ঘরের ভিতরে বা বাইরে কোনও জমায়েতে কেউ অংশ নিতে পারবে না। আজ পর্যন্ত লকডাউনের মধ্যে যদি কেউ কারওর বাড়িতে যেত, তবে তার উপরই নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠত। কিন্তু নতুন এই আইনে যিনি অন্যের বাড়ি যাচ্ছেন তিনি তো বটেই, যাঁর বাড়ি যাচ্ছেন তাঁর উপরেও বিধিভঙ্গের মামলা দায়ের হবে। পূর্ববর্তী নিয়ম অনুসারে কোনও পাব্লিক প্লেসে দেখা করা ছিল বেআইনি। কিন্তু নতুন নির্দেশিকায় বাড়ির মধ্যেও এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। যার মধ্যে পড়ে যৌনতাও।

Advertisement

sex

Advertisement

[ আর ওপড়ুন: লকডাউনে স্পর্শে ‘না’, অনলাইনে পেশা বাঁচানোর চেষ্টা বেঙ্গালুরুর যৌনকর্মীদের ]

তবে আইন যেমন আছে, তার ব্যতিক্রমও আছে। নতুন এই আইনে জানানো হয়েছে, যদি কোনও বাচ্চার বাবা-মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তবে তারা বাচ্চার খাতিরেই একত্রিত হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এই নিয়ম খাটবে না। একইভাবে শেষকৃত্য ও জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। যদিও এই আইনের আওতায় কীভাবে শাস্তি দেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি ইংল্যান্ডের সরকার।

প্রসঙ্গত মার্চের শেষের দিকে যখন ব্রিটেনে লকডাউন শুরু হয়, তখনই সরকার সবাইকে আবেদন করেছিল যারা একসঙ্গে থাকতে চায়, তারা যেন একসঙ্গে থাকে। আর যারা আলাদা থাকতে চায়, গোটা লকডাউনে তাদের আলাদাই থাকতে হবে। এই নিয়মের অন্যথা হবে না। করোনার সংক্রমণ কমানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জেনি হ্যারিস জনসাধারণকে তখনই অনুরোধ করেছিলেন, তারা যেন সিদ্ধান্ত স্থির করে ফেলে। আর যে সিদ্ধান্তই নেবে, তাতে যেন অবিচল থাকে। কিন্তু সময় গড়িয়ে এখন দু’মাস হয়ে গেল। লকডাউন ওঠার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ফলে কাপলরা অধৈর্য হয়ে উঠেছে। একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি ১০ জন ব্রিটেনবাসীর মধ্যে ৬ জন লকডাউনের মধ্যে যৌনতা থেকে দূরে ছিল। বাকিদের আটটকানো যায়নি। এভাবেই করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

[ আরও পড়ুন: বাড়িতে থেকে কীভাবে পালন করবেন মাতৃ দিবস? রইল টিপস ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ