সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গর্ভবতী অবস্থা থেকেই সন্তানের নামকরণ নিয়ে উৎসাহ শুরু হয়। বাবা-মা তো বটেই, হেন কোনও আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব থাকে না, যারা নামকরণের প্রস্তাব থেকে বিরত থাকে। বিশেষ করে গর্ভধারণের ন’মাস থেকে শুরু হয় সন্তানের নাম কী হবে, তা নিয়ে গবেষণা। মেয়ে হলে এক নাম, ছেলে হলে আর এক। দু’টো তালিকাই তৈরি থাকে। কিন্তু জানেন কি, মন চাইলেই যা খুশি নাম না রাখাই ভাল। সন্তানের নাম রাখার আগে এই বিষয়গুলির দিকে নজর দিন।
১) উচ্চারণের দিকে নজর দিন প্রথমেই। প্রথমে যে নামটি রাখবেন বলে স্থির করেছেন, সেটি একটি কাগজে লিখুন। তারপর আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসা করুন, সেটি তারা উচ্চারণ করতে পারে কিনা। যদি পারে, তাহলে আপনি ষোলোআনা সফল। আর যদি না পারে, তাহলে বিকল্প নাম ভাবুন।
২) যে নামটি আপনি রাখতে চান, সেটি সবাইকে শোনান। যদি নাম শুনে সবাই বাহবা দেয়, তাহলে ঠিক আছে। নাহলে নামটি রাখার আগে আরও একবার ভাবুন। কারণ আপনার সন্তানকে কিন্তু সারাজীবন এই নামের সঙ্গেই কাটাতে হবে। বারবার এই নামের মানে বোঝাতে হবে সবাইকে। তা নিশ্চয়ই আপনি চাইবেন না। তাই নামের মানে নিয়েও ভাবুন।
[ আরও পড়ুন: প্রেমিকের বীর্যভরা লকেটের ছবি পোস্ট! নেটদুনিয়ায় ভাইরাল যুবতীর নেকলেস ]
৩) ডাকনাম নিয়ে কিন্তু আগে থেকে সচেতন হোন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আসল নামটি কাটছাঁট করে অনেকে ছোট করে নেয়। সেটাই হয়ে যায় ডাকনাম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটি খুব অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। নামের বারোটা তো বেজেই যায়, তার উপর অদ্ভুত ডাকনামের জন্য জায়গা বিশেষে সমস্যায় পড়তে পারেন আপনার সন্তান।
৪) নামের অর্থ একটি বড় ব্যাপার। নাম চূড়ান্ত হওয়ার আগে এদিকটা অবশ্যই ভেবে দেখুন। নামের মানে যেন সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। শুধু বাংলায় নয়, ইংরেজি, হিন্দি-সহ যে কোনও ভাষাতেই যেন ওই নামের মানে থাকে। তাহলে আপনার সন্তান বড় হয়ে বাংলার বাইরে পড়তে বা চাকরি করতে গেলে তাঁকে হাজারটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে না।
৫) চেষ্টা করুন আপনার সন্তানের নাম যেন হয় ইউনিক। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন আপনার সন্তানের নাম সবার থেকে আলাদা আর সুন্দর হোক। তাহলে কিন্তু একটু পরিশ্রম করতে হবে। তবে ইউনিক করার চক্করে যেন এমন নাম রাখবেন না যার কোনও অর্থ নেই।