সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘খাই খাই কর কেন, এস বস আহারে-
খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে।’
কিন্তু ভোজ খেলেই তো আর হল না। তা হজম করার শক্তি চাই। আর হজম করতে গেলে জানতে হবে। কোনটা খাবেন, আর কোনটা খাবেন না। আবার কোনটার সঙ্গে কোনটা খাবেন না। যেমন –
- দুধ-কলা দিয়ে কখনও পেটের কালসাপ পুষবেন না। কারণ দু’টি খাবারেই খুব হাই প্রোটিন থাকে যা পেট ভারী করে দেয়। আর শরীর খুব অল্প সময়েই ক্লান্ত হয়ে যায়।
- প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারের প্রয়োজন কমিয়ে দেয়। একথা যেমন ঠিক, তেমনই ঠিক আরও একটি কথা যে, আপেলের সঙ্গে কখনও অ্যালার্জির ওষুধ খাবেন না। এতে ওষুধের গুণ প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যায়।
- আধুনিকতার ছোঁয়ায় বার্গার-ফ্রাইয়ের কম্বো খাননি এমন বাঙালি পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু জানেন কি, এই দুই ফ্যাট জাতীয় খাবার একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। তাতে আপনি সবসময় ক্লান্ত অনুভব করবেন।
- ধোঁয়া ওঠা গরম পিজ্জা, সঙ্গে কোল্ড ড্রিঙ্ক। এমন ‘পাপ’ আমরা জীবনে কমবেশি সকলেই করেছি বা করে থাকি। কিন্তু এতেই বাড়ে বিপত্তি। প্রোটিনের সঙ্গে স্টার্চ মিলে মিশে হজমের শক্তি কমিয়ে দেয়। অল্প সময়েই পেট ভারী হয়ে যায়।
- পাস্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত টমেটো। আর এটাই ভারতে ইটালির পরিচয়। এই কম্বোই আপনার পেটের ভিলেন। পাস্তার মতো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের সঙ্গে টমেটোর অ্যাসিড মিশে গ্যাসের সৃষ্টি করে।
- ডায়েট যাঁরা মেনে চলেন তাঁদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের খাবার দই ও ফল। কিন্তু এই দুই স্বাস্থ্যকর খাবারই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। প্রোটিনের সংস্পর্শে অ্যাসিড আসলে টক্সিন সৃষ্টি হয়। আর কোল্ড অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।
- ভর্তি পেটে ফল একদম খাবেন না।এতে হজমের খুবই সমস্যা হয়। আর অ্যাসিডও হতে পারে।
- মাংসের ঝোলে আলু ডুবিয়ে খাওয়ার অভ্যেস অনেকরই রয়েছে নিশ্চয়ই। কিন্তু এতেই ঘটছে যাবতীয় বিপত্তি। এমনিতে অ্যাসিড কিংবা গ্যাস হতে পারে। আবার পরবর্তীকালে ফাইবারের অভাবও হতে পারে।
তাই জেনে-বুঝেই খান। পেটকে সুস্থ রাখুন। তাহলেই শরীর সুস্থ থাকবে। শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভাল থাকবে।