সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোজ স্রেফ একটা করে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট! অবশ্যই কম ডোজের। তার পর?
দেখতে দেখতে হৃৎপিণ্ড হবে তরতাজা, কমে যাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। তফাতে থাকবে বেশ কিছু ক্যানসার। এছাড়া আয়ু বাড়বে অন্তত বছর কুড়ি! এই এত কিছু হবে স্রেফ একটা করে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেটের কল্যাণে।
শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি এরকম দাবি তুলেছেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-লেখক ডেভিড বি অগাস। তিনি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন কারণটা। আদতে অ্যাসপিরিন রক্তকে তরল করে রাখে, জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। ফলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। তার জেরে সুস্থ থাকে হৃৎপিণ্ড এবং শরীরের অন্য কলকবজা। পরিণামে আয়ু যায় এমনিতেই বেড়ে।
এইবার, এই জায়গায় এসে একটা কূটকচালি প্রশ্ন উঠবে। কার শরীরে অ্যাসপিরিন ঠিক কীরকম মাত্রায় দরকার, সেটা বোঝা যাবে কী করে?
তারও উত্তর রয়েছে অগাসের কাছে। ব্যাখ্যা করে তিনি বুঝিয়েছেন- মূলত শরীরের ভর, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং আরও বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কত পরিমাণ অ্যাসপিরিন লাগবে- তা ঠিক করা হয়!
অগাস আরও দেখেছেন সমীক্ষার মাধ্যমে, প্রতি ১০০০ জন মার্কিন মানুষ, যাঁরা নিয়মিত অ্যাসপিরিন খান, তাঁদের মধ্যে ১১ শতাংশের হৃৎপিণ্ড থাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক। ক্যানসারের প্রকোপ থেকেও দূরে থাকেন তাঁরা। এঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ৫১ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। তাঁরা সুস্থ আছেন, কর্মক্ষমও!
তবে বক্তব্যের একেবারে শেষে এসে একটা বিষয়ে সাবধান করে দিচ্ছেন অগাস। বলছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেন অ্যাসপিরিন খাওয়া না হয়! সেক্ষেত্রে আবার হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।