সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোটবেলা থেকে স্মার্টফোনে আসক্তি। আর সেই আসক্তি এতটাই যে, চোখের দৃষ্টি হারাতে বসেছিল বছর চারেক এক শিশু। শেষপর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে কোনওমতে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, আর একটু দেরি হলেই হয়তো বড় কোনও অঘটন ঘটতে পারত। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে।
[আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জের, আঁধার নামল নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যারে]
প্রয়োজন আছে ঠিকই। তবে স্মার্টফোনে আসক্তিও বড় কম নয়। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে এখন বাবা-মায়ের হাতে সময়ও নেই। স্রেফ ভুলিয়ে রাখার জন্য শিশুসন্তানদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিচ্ছেন অনেকেই। ক্রমে স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে একরত্তি শিশুরাও। এর ফল যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা এখন হারে হারে টের পাচ্ছেন থাইল্যান্ডের এক দম্পতি।
যখন বয়স মোটে দু’বছর, তখন মেয়ের হাতে স্মার্টফোন ও আইপ্যাড তুলে দিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের ওই দম্পতি। কিন্তু কখন যে শিশুটি স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে, তা টের পাননি। ওই দম্পতির দাবি, বেশ কয়েক মাস পর তাঁরা খেয়াল করেন যে, স্মার্টফোন না পেলেই ওইটুকু শিশুও বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে, রীতিমতো কান্নাকাটি জুড়ে দিচ্ছে। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফেরেনি বাবা-মায়ের। বরং মেয়েকে খুশি রাখতে স্মার্টফোন ব্যবহারে কোনও বাধা দেননি তাঁরা। এদিকে ছোট থেকেই চোখের সমস্যার কারণে চশমা পড়তে হত শিশুটিকে। তার উপর দিনের অনেকটা সময় স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে ধীরে ধীরে দৃষ্টি কমতে থাকে তার। তড়িঘড়ি মেয়েকে নিয়ে চোখের ডাক্তারের কাছে যান ওই দম্পতি।
ওই দম্পতির দাবি, চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির চোখের মারাত্বক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। দৃষ্টিশক্তি ফেরানোর জন্য অবিলম্বে অস্ত্রোপচার করতে হবে।অস্ত্রোপচারের পর দৃষ্টিশক্তি ফিরেছে। তবে চিকিৎসক ওই দম্পতিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে শিশুটিকে স্মার্টফোন, আইপ্যাড, এমনকী টিভি স্ক্রিন থেকেও যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। কারণ মোবাইল বা টিভির স্ক্রিন থেকে যে আলো বেরোয়, তাতে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। গোটা ঘটনাটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে অভিভাবকদের সতর্কও করেছে ওই থাই দম্পতি।