সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল। এবার তা বলবৎ হল। মাদ্রাজ হাই কোর্টের নির্দেশে টিকটক অ্যাপ ডাউনলোড করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করল গুগল। অর্থাৎ এখন গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে জনপ্রিয় এই অ্যাপটি খুঁজলে আর পাওয়া যাবে না।
গান থেকে অভিনয়, এই ভিডিও অ্যাপে বিনোদনের অন্ত নেই। মজার মজার ভিডিও তৈরি করা যায় এখানে। ফলে যতদিন গড়িয়েছে, জনপ্রিয় হয়েছে এই অ্যাপ। চলতি বছর জানুয়ারিতে এদেশে তিন কোটিরও বেশি মানুষ এটি ইনস্টল করেছে। ফেব্রুয়ারিতে ২৪০ মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে অ্যাপটি। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, অল্প সময়ে ঠিক কতখানি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে টিকটক। কিন্তু অনেকেই অভিযোগ তোলেন, টিকটক অ্যাপটি যুবপ্রজন্মকে পর্নের প্রতি আকৃষ্ট করছে। অল্প বয়সিদের উপর এর খারাপ প্রভাব পড়ছে। ফলে যতদ্রুত সম্ভব, অ্যাপটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি ওঠে। কিন্তু চিনা সংস্থা বাইটডান্স টেকনোলজি পালটা অনুরোধ জানায় আদালতকে।
[আরও পড়ুন: নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে উদ্ধার ১২ কোটি টাকা, ভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত কমিশনের]
তাদের আরজি ছিল, এই অ্যাপটি যেন ভারতে নিষিদ্ধ না করা হয়। তাহলে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। কারণ ভারতেই তাদের কোম্পানিতে ২৫০ জন কাজ করেন। টিকটক জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় ব্যবসা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনাই ছিল তাদের। কিন্তু সমাজে এই অ্যাপের খারাপ প্রভাবের কথা বিচার করে চিনা সংস্থার এমন আরজি খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। তারপরই নির্দেশ দেওয়া হয়, সমস্ত প্লে-স্টোর থেকে যেন এই অ্যাপকে ব্লক করে দেওয়া হয়। যাতে ইচ্ছা করলেও আর এটি কেউ ডাউনলোড করতে না পারে। পরে অবশ্য আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নেয় চিনা কোম্পানি।
গত ৩ এপ্রিল কেন্দ্রকে টিকটিক অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে বলেছিল হাই কোর্টে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, আলাদতের নির্দেশ অনুযায়ী অ্যাপেল ও গুগলকে এই বিষয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। নির্দেশ মেনেই ভারতে গুগল প্লে-স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে অ্যাপটি। তবে মঙ্গলবার সন্ধেতেও অ্যাপেল স্টোরে টিকটক অ্যাপের অস্তিত্ব ছিল। অ্যাপ নিষিদ্ধ করা নিয়ে গুগলের বক্তব্য, কোনও ধরনের অ্যাপ নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। তবে যে দেশে যা নির্দেশ দেওয়া হবে গুগল তা মেনে চলবে। যদিও এনিয়ে অ্যাপেল কোনও মন্তব্য করেনি।