সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ চালু করলেই কি বিজ্ঞাপন আসছে? বারবার কি উঁকি দিচ্ছে পপ-আপ? যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে সাবধান! আপনার মোবাইলর হামলা চালিয়েছে ‘এজেন্ট স্মিথ’। এই মুহূর্তে ভারতে অন্তত দেড় কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার এতে আক্রান্ত বলে খবর।
কী এই এজেন্ট স্মিথ?
এজেন্ট স্মিথ হচ্ছে একটি ম্যালওয়ার। সহজ ভাষায় ‘ভাইরাস’। তবে কম্পিউটার নয়, এই ভাইরাস টার্গেট করছে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলিকে। আপনার অনুমতি ছাড়াই এবং সম্পূর্ণ অজান্তে হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকে পড়ে ম্যালওয়ারটি। আক্রান্ত স্মার্টফোনগুলির ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপ খুললেই চলে আসছে বিজ্ঞাপন। বারবার উঁকি দিচ্ছে পপ-আপ। শুধু ভারত নয়, মার্কিন মুলুকেও ৩ লাখ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে এই ম্যালওয়ারের হামলা হয়েছে। ইজরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ‘চেক পয়েন্ট’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আপাতত এই ম্যালওয়ারের বিরুদ্ধে তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠেনি। তবে যেভাবে এই ম্যালওয়ার জাল বিস্তার করছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। কারণ, ব্যবহারকারীর অজান্তেই স্মার্টফোনে প্রবেশ করে এই ম্যালওয়ার। এরপর হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে জুড়ে যায় ‘এজেন্ট স্মিথ’। ফলে যে কোনও মুহূর্তে ফোন থেকে চুরি যেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্য।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল ‘ওয়ানাক্রাই, পেটিয়া’-র মতো র্যানসমওয়্যার বা কম্পিউটার ভাইরাস। ভারতেও আক্রান্ত হয় একাধিক কম্পিউটার। বিশ্বের শতাধিক দেশে হামলা করেছিল কম্পিউটার ভাইরাস ‘ওয়ানাক্রাই’। র্যানসমওয়্যার বা কম্পিউটার ভাইরাস যার মাধ্যমে হ্যাকাররা কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার কম্পিউটার সিস্টেমের সমস্ত ফাইল হ্যাক করে সেটা লক করে দেয়। ফলে, ব্যবহারকারী ওই কম্পিউটার আর ব্যবহার করতে পারেন না। ফাইল খোলা বা আনলক-এর জন্য মোটা ‘মুক্তিপণ’ চাওয়া হয়। একমাত্র ‘র্যানসম’ বা মুক্তিপণ মেটানো হলে তবেই কম্পিউটার ফের সচল করা হয়। ‘ওয়ানাক্রাই’-এর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে ভারত ছিল তিন নম্বরে। ব়্যানসমওয়্যার হামলায় আমেরিকা-সহ শতাধিক দেশ কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়।ওই হামলার জন্য কিম জং উনের উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করছিল আমেরিকা। তবে ‘এজেন্ট স্মিথ’ কাদের মস্তিষ্কপ্রসূত, তা এখনও অজানা।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের ক্ষত সারিয়ে দুই কোরিয়াকে ‘এক করতে’ কিমের দেশে ইন-গুক]