Advertisement
Advertisement

Breaking News

কোরিয়া

যুদ্ধের ক্ষত সারিয়ে দুই কোরিয়াকে ‘এক করতে’ কিমের দেশে ইন-গুক

তবে কি ফিরছে পাঁচের দশকের দুনিয়া কাঁপানো দিনগুলি?

Seoul investigating defection of ex foreign minister’s son to North Korea
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 11, 2019 10:33 am
  • Updated:July 11, 2019 10:33 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবার এক হবে দুই কোরিয়া৷ থাকবে না উত্তর-দক্ষিণের বিভেদ৷ এই স্বপ্ন নিয়েই পাকাপাকিভাবে উত্তর কোরিয়ায় ফিরে গেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী চয় ডক-শিনের ছেলে চয় ইন-গুক।

[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক চাপে অতিষ্ঠ পাকিস্তান, ৮ ছোট জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য আইএসআইয়ের]

Advertisement

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, রবিবার পিয়ংইয়ং পৌঁছান চয় ইন-গুক। তাঁর এই ‘ঘর ওয়াপসি’র বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। নিজেদের প্রায় বিধ্বস্ত অর্থনীতি নিয়ে সংকটে থাকা উত্তর কোরিয়া এতে প্রচার করার সুযোগ পাবে যে, দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে তাদের শাসন ব্যবস্থা ভাল। সে কারণেই ফিরে এসেছেন বছর বাহাত্তরের ইন-গুক। ইতিমধ্যেই উত্তর কোরিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে ইন-গুকের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে তিনি জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের শেষ ইচ্ছাপূরণ করতেই এখানে এসেছেন তিনি। দুই কোরিয়াকে ফের এক করার কাজেই বাকি দিনগুলি কাটাতে চান তিনি। এখানে কিম জং উনের নেতৃত্বে সেই কাজই চালিয়ে যাবেন।

Advertisement

দুই কোরিয়ায় ছড়িয়ে থাকা একই পরিবারের লোকজনদের নিজেদের মধ্যে ফোনে কথা বলতে, চিঠি পাঠাতে বা ই-মেল করতে হলেও বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। তবে উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার জন্য ইন-গুক কোনও অনুমতি নেননি বলে সিওলের তরফে জানানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার স‌ংবাদমাধ্যমের জল্পনা, উত্তর কোরিয়ার দেওয়া ভিসা নিয়ে বেজিং থেকে সে দেশে উড়ে গিয়েছেন ইন-গুক।

১৯৫০ থেকে ৫৩ পর্যন্ত চলা যুদ্ধের পর থেকে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। মূলত, রাজনৈতিক দমন ও দারিদ্র থেকে বাঁচতেই তাঁরা এই কাজ করেছেন৷ তবে দক্ষিণ থেকে উত্তরে পাড়ি দেওয়ার নজির বেশি নেই। কেউ গেলেও কিমের দেশ তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়। গত বছর এমন দু’জনকে ফেরত পাঠিয়েছিল তারা। তবে ‘হাই-প্রোফাইল’ ইন-গুকের ব্যাপারটি আলাদা। মনে করা হচ্ছে তাঁর ক্ষেত্রে এমনটা করা হবে না। বরং ইন-গুকের হাত ধরে দেশের ভাবমূর্তি খানিকটা শুধরে নিতে চাইছে কড়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে আর্থিক দুরবস্থার সঙ্গে লড়াই চালানো দেশটি।

[আরও পড়ুন: মাসুদের পর নিশানায় দাউদ, রাষ্ট্রসংঘে ডি-কোম্পানির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভারত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ