Advertisement
Advertisement
Fraud arrest

সাইবার জালিয়াতির দেড় কোটি টাকা চিনে পাচার! লালবাজারে জালে ‘ফেরার’ ছাত্র

ত্রিপুরা থেকে ফেরার ছাত্রকে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

Allegation of online fraud, youth arrested from Madhya Pradesh | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:January 18, 2024 8:49 pm
  • Updated:January 18, 2024 8:49 pm

অর্ণব আইচ: কলকাতার বাসিন্দাদের প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে ওয়ালেটের মাধ্যমে চিনে পাচার। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে সাইবার জালিয়াতির অভিযুক্ত এক কলেজ ছাত্র। সুবীর দাস নামে ওই ছাত্রকে জেরা করে লালবাজারের গোয়েন্দাদের কাছে উঠে এসেছে সাইবার জালিয়াতির সঙ্গে চিন যোগের এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। লালবাজারে সাইবার থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রায় দেড় কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। অথচ এই ছাত্রই ত্রিপুরা থেকে ফেরার হয়ে যায়। পরে মধ্যপ্রদেশ থেকে তাকে গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা এক ব্যক্তি এই জালিয়াতি চক্রের ফাঁদে পড়েন। টেলিগ্রামে ওই ব্যক্তির কাছে মেসেজে আসে। লগ্নি অ্যাপে টাকা আমানত করলে বিপুল পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে একাধিক অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করার সুযোগ দেওয়া হয়। সেখানে দেখানো হয়, বহু ব্যক্তি টাকা লগ্নি করে তার দশগুণ পর্যন্ত ফেরত পাচ্ছেন। এরকম উদাহরণ দেখে জালিয়াতের পাতা ফাঁদে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। তিনি কিছু টাকার লগ্নি করলে ফেরত পান। এর পর দফায় দফায় প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা লগ্নি করেন তিনি। একইভাবে কলকাতার আরও এক বাসিন্দা এই জালিয়াতদের ফাঁদে পড়ে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা লগ্নি করেন বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে লালবাজারে সাইবার থানায় আলাদা আলাদা দুটি মামলা রুজু হয়। তদন্ত করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, অভিযুক্তরা একই ব্যক্তি প্রথমে যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল, তাদের সন্ধান মেলে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জন্মের প্রমাণপত্র হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয় আধার! বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]

ধৃতদের জেরা করেই গোয়েন্দারা ওড়িশার বাসিন্দা সুবীর দাসের সন্ধান পান। জানা যায় যে, ভুয়ো অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই সাইবার জালিয়াতি হয়েছে। সেগুলির পিছনে রয়েছে চিনা জালিয়াতরা। লগ্নি করা কোটি টাকা মোট ১৭টি ই ওয়ালেটের মাধ্যমে পাচার করা হয়। সেগুলির মধ্যে দশটি হচ্ছে চিনা ওয়ালেট। বাকি ওয়ালটের মাধ্যমে টাকা মধ্যপ্রাচ্যে পাচার হয়েছে। হাতিয়ে নেওয়া পুরো টাকা পরিবর্তন করা হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। এই জালিয়াতি চক্রের মাথা সুবীর দাসের সন্ধানে লালবাজারে গোয়েন্দারা প্রথমে ওড়িশায় যান। সেখানে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, সে আসলে একটি কলেজের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সে পড়াশোনার নাম করে পালিয়েছে ত্রিপুরায়। সেইমতো আগরতলায় হানা দেন গোয়েন্দারা। তাকে ত্রিপুরার আদালতে তোলা হলে বিচারক তখনকার মতো জামিন দিলেও বলেন, দুদিনের মধ্যে কলকাতায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করতে। কিন্তু কলকাতায় আসার বদলে ত্রিপুরা থেকেই উধাও হয়ে যায় সুবীর। তার আগাম জামিনের আবেদনও বাতিল হয়। শেষে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারায় গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে সে। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার হয় সে। সুবীরকে জেরা করে এই চিনা অ্যাপের ও ওয়ালেট এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মন্দিরের উদ্বোধনের আগে রামের নামে স্ট্যাম্প প্রকাশ, রামভক্তদের শুভেচ্ছা মোদির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ