সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবারের লোকসভা ভোটে সোশ্যাল মিডিয়া যে একটা বড় ফ্যাক্টর ছিল, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিন থেকে ফল প্রকাশের দিন পর্যন্ত ভারচুয়াল দুনিয়াই হয়ে উঠেছিল সমস্ত আলোচনার মূল মঞ্চ। সেসব মঞ্চের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নিঃসন্দেহে ফেসবুক। স্বাভাবিকভাবেই তাই সোশ্যাল মিডিয়ার স্বচ্ছতা বজায়ের দায়িত্বও বেড়ে গিয়েছিল। যে পরীক্ষায় লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করল ফেসবুক।
[আরও পড়ুন: ভারত-পাক সম্পর্কে ফাটল রুখতে বিশেষ উদ্যোগ ফেসবুকের]
নির্বাচন চলাকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই প্রচারের মাধ্যম হিসেবে কাজে লাগিয়েছিল ফেসবুককে। কিন্তু তাতে যাতে ইউজাররা প্রভাবিত না হন, সে কারণে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ করেছিল ফেসবুক। কারণ ফেসবুকের মতে, এই প্ল্যাটফর্মটি পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের। বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি মাধ্যম। রাজনৈতিকভাবে কাউকে প্রভাবিত করা এর কাজ নয়। তাই কোনও রাজনৈতিক দল এখানে বিজ্ঞাপন দিলেও ফেসবুকের কিছু নিয়ম মেনেই চলতে হয়েছে তাদের। যাঁরা এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, ভোটের মরশুমে তাঁরা নিশ্চয়ই নানা রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন দেখেছেন। তবে সেই বিজ্ঞাপনের সঙ্গে একটি ‘পাবলিশড বাই’ বা ‘পেড ফর বাই’ অপশনটির উল্লেখ ছিল। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনটি কোন রাজনৈতিক দল দিয়েছে অথবা বিজ্ঞাপনটি অর্থের বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে কিনা, বিজ্ঞাপনটি দেওয়ার কারণ, এ সবকিছুই উল্লেখ করা ছিল। যাতে ফেসবুকের দিকে সরাসরি কেউ আঙুল না তুলতে পারে।
এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনটি অন্য কোনও সংস্থার মাধ্যমে এসে থাকলে তার নাম, ফোন নম্বর, ই-মেল, সেই ওয়েবসাইটের নাম অথবা মিডিয়ার শংসাপত্রও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখ ছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মনিটারিং কমিটির শংসাপত্রেরও। বিজ্ঞাপনটির বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিজেদের স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে কোনও বিজ্ঞাপনে বিজ্ঞপ্তি না থাকলে ইউজাররা বিজ্ঞাপনটির উপর ডানদিকে তিনটি ডট চিহ্নে ট্যাপ করলেই ‘রিপোর্ট অ্যাড’ অপশনটি খুঁজে পেয়েছেন। ফলে ভুয়ো খবর বা বিজ্ঞাপনের হাত থেকে রক্ষা করা গিয়েছে ফেসবুককে। আর বলাই বাহুল্য, দিনের শেষে চূড়ান্ত সফল হয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট।